অবিকল মানুষের ভাষায় কথা বলে তাক লাগাল কাক, তুমুল ভাইরাল ভিডিও
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা নানা পশু পাখিদের ভিডিও অনায়াসে দেখতে পায়।

সাধারণত মানুষ কুকুর-বিড়াল বা গরু-ছাগল পোষে। কেউ পাখি ভালোবাসলে টিয়াপাখি, কাকাতুয়া, ময়না প্রভৃতি পুষে থাকে। কিন্তু কেউ কাক পুষেছে শুনেছেন কি? প্রশ্নটা অদ্ভুত মনে হলেও, বেকার নয়। কারণ, এই ঘটনা সত্যি ঘটেছে। এক পরিবার সত্যিই কাক পুষেছে। কারা এবং কেন পুষেছে যদি জানতে চান, পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদন।
সম্প্রতি একটি কাকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে একটি কাকটিকে একদম মানুষের মতো বাংলা ভাষায় কথা বলতে দেখা গেছে। তা হয়েছে যদিও এক যুবতীর দৌলতেই। দাবি করা হয়েছে, ভিডিওতে দৃশ্যমান যুবতীই কালো কাকটিকে বাংলা বলা শিখিয়েছে। এই ভিডিওটি বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বলে জানানো হয়েছে। যুবতী কাকটিকে খুবই আদর করে নিজের হাতে ধরে ছিলেন। তিনি কাকটিকে নাম দিয়েছেন ‘কামিনী’। যুবতীর এই আচরণ দেখে প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
যুবতীর বাড়ির সদস্যদের বৃত্তান্তে জানা যায় যে, তাঁরা এই কাকটিকে কোথাও থেকে কিনে আনেননি। এক ঝড় বৃষ্টিতে রাতে হঠাৎই বাড়ির উঠোনে এসে আছড়ে পড়ে কাকটি। সেই রাতে কাকটিকে উদ্ধার করে যুবতী তখন থেকেই কাকটির যত্ন নেয় এবং তাকে বড়ো করে তোলে। তবে শুধু যুবতীই নয়, কাকের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে আশরাফ আলির পুরো পরিবারের অবদান রয়েছে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, কাকটিকে কিন্তু শিকল ব্যবহার করে কেউ বেঁধে রাখেনি। খোলাই রেখে দেয় আশরাফ আলির পরিবার। কিন্তু এরপরেও কাকটি পালিয়ে যায়নি। এর থেকেই বোঝাই যায় কাকটি বর্তমানে আশরাফ আলির বাড়ির সদস্যতে পরিণত হয়েছে। এই কাকের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আশরাফ আলির বাড়িতে জমায়েত শুরু হয়েছে রিপোর্টারদের।
ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে ‘যাযাবর ব্যাকপ্যাকার’ (Jajabor Backpacker) নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে। এই ভিডিওটি দর্শকদের খুব পছন্দ হয়েছে। ভিডিওটির ভিউয়ার্সের সংখ্যা ৪.৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে এবং লাইকের সংখ্যা ১৯ হাজার অতিক্রম করে ফেলেছে।