Lifestyle: চুলের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে জবা ফুলের ৫টি ঘরোয়া টোটকা

এই সমস্ত সমস্যা থেমে মুক্তি পেতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে কিছু ঘরোয়া প্যাক। এক্ষেত্রে একাধিক উপাদানের মধ্যে জবা ফুলেরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।

বর্তমানে ইঁদুর দৌড়ের যুগে চুলের যত্ন নেওয়ার আর সময় কোথায়! কেউ কেউ সময় বাঁচাতে কেমিক্যালজাত প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। এর ফলে চুল ঝরে পড়ে যাওয়ার সমস্যা, অকালপক্কতার সমস্যা, রুক্ষতার সমস্যা দেখা দেয়। একসময় চুলের ঘনত্বই পাতলা হয়ে যেতে দেখা যায়।

এই সমস্ত সমস্যা থেমে মুক্তি পেতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে কিছু ঘরোয়া প্যাক। এক্ষেত্রে একাধিক উপাদানের মধ্যে জবা ফুলেরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। জবাফুলে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড চুলে কেরাটিন নামক প্রোটিনের যোগান দেয়। ফলস্বরূপ, চুলে জেল্লা অক্ষুণ্ন থাকে। ৫ রকমের সমস্যা দূর করতে নিম্নে জবা ফুল কেন্দ্রীক মোট ৫টি প্যাকের বর্ণনা দেওয়া হল।

চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি:

জবা ফুলের পাপড়ি বেটে নেওয়ার পরে এতে নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ আধ ঘন্টার মতো মাথায় লাগিয়ে স্নান করার সময়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

রুক্ষ চুল মোলায়েম করতে:

প্রথমে একটি পাত্রে জবাফুলের কয়েকটা পাপড়ি কাঠবাদামের তেলে নিয়ে রোদে শুকোতে হবে। এই পাপড়িগুলো পরে কাঁচের শিশিতে ভরে রাখতে হবে। এই শিশি প্রত্যেকদিন ২-৩ ঘন্টা করে ১০-১৫ দিনের মতো সূর্যালোকের নীচে রেখে দিতে হবে। স্নান করার ঠিক ৩০ মিনিট আগে মাথায় লাগিয়ে ধুয়ে দিয়ে শ্যাম্পু করতে হবে।

মাথা থেকে খুশকি দূর করতে:

শুধুমাত্র শীতকালেই নয় সারা বছরই বহু মানুষকে খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলে প্রথমে জবা ফুলের পাপড়ি বেটে নিতে হবে। এই মিশ্রণের সঙ্গে তিলের তেল মেশাতে হবে। এই মিশ্রণ স্নান করার আগে মাথায় মেখে নিয়ে স্নান করার সময় শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

চুল পড়ে যাওয়া বাধা দিতে:

চুল পড়ে যাওয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে জবা বেশ কাজে লাগতে পারে। কয়েকটা জবা ফুলের পাপড়ি জোগাড় করে ভালো করে বেটে নিতে হবে। এই জবা ফুলের পেস্টের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে স্নান করার আগে ব্যবহার করতে হবে। মাথায় মোটামুটি ২০ মিনিটের মতো মাখিয়ে স্নান করার সময়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

চুলের অকালপক্কতায় বাধা প্রদান করতে:

প্রথমে গ্যাস উনুনে একটি পাত্র বসাতে হবে। সেই পাত্রে জল ও জবা ফুলের পাপড়ি যোগ করতে হবে। ভালো করে সবটা ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটানোর সময়ে কিছুক্ষণ পরে দেখা যাবে যে, জলের রং স্বছ থেকে লাল বর্ণে পরিণত হচ্ছে। এই লাল জল একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিতে হবে। এই জল সপ্তাহে ২-৩ দিন স্প্রের মতো করে ব্যবহার করলেই চুলের অকালপক্কতা দূর হবে।