PPF Account: এই সরকারি স্কিমে প্রতি মাসে জমা করুন মাত্র 500 টাকা, ফেরত পাবেন 2.5 লাখ টাকা

বর্তমানে কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে বিনিয়োগের অপশনের অভাব নেই। ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার বাজারের মতো অপশনগুলোর ছড়াছড়ি বাজারে।

বর্তমানে কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে বিনিয়োগের অপশনের অভাব নেই। ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার বাজারের মতো অপশনগুলোর ছড়াছড়ি বাজারে। নিজের চাহিদার ভিত্তিতে সাধারণ মানুষ নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে থাকেন।

ভারতে জনপ্রিয় স্কিমগুলোর মধ্যে পিপিএফ স্কিমের (PPF Scheme) নাম অন্যতম। এক্ষেত্রে ন্যূনতম বার্ষিক বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ টাকা। এতে সর্বাধিক বিনিয়োগ করা যায় দেড় লাখ টাকা। এর মেয়াদ ১৫ বছর হওয়ায় এটি দীর্ঘমেয়াদি স্কিম নামে পরিচিত। বিনিয়োগকারী ব্যক্তির ইচ্ছে হলে তিনি মেয়াদের পরিমাণ আরও ৫ বছরের জন্য বৃদ্ধি করতে পারেন। এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।

পিপিএফ অ্যাকাউন্ট (PPF Account) খোলার প্রক্রিয়া:

১. পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ইচ্ছুক বিনিয়োগকারী ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক (পিএনবি, এসবিআই) বা পোস্ট অফিসে যেতে পারেন।
২. অফলাইনের পরিবর্তে কেউ চাইলে অনলাইনেও অ্যাকাউন্টে খুলতে পারেন। এর জন্য ইচ্ছুক ব্যক্তিকে মোবাইল ব্যাঙ্কিং প্ল্যাটফর্ম (Mobile Banking Platform) বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং (Internet Banking)-এর সাহায্য নিতে হবে।
৩. উক্ত মাধ্যমগুলো সাহায্যে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
৪. অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার পরে সামনে ‘ওপেন পিপিএফ অ্যাকাউন্ট’ (Open PPF Account) সিলেক্ট করতে হবে।
৫. উক্ত অ্যাকাউন্টটি বিনিয়োগে ইচ্ছুক ব্যক্তির নিজের হলে ‘সেল্ফ অ্যাকাউন্ট’ (Self Account) এবং নাবালক কারোর হলে ‘মাইনর অ্যাকাউন্ট’ (Minor Account) বাছতে হবে।
৬. বিনিয়োগে ইচ্ছুক ব্যক্তি প্রত্যেক অর্থবর্ষে যে পরিমাণ টাকা জমা করতে চান, সেই টাকার কথা ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে উল্লেখ করতে হবে।
৭. আবেদনপত্রটি পূরণ করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে জমা করতে হবে।
৮. সাবমিট করার পরে নথিভুক্ত করা মোবাইল নম্বরে একটি OTP যাবে। সেই ওটিপি নির্দিষ্ট ফাঁকা স্থানে দিতে হবে।
৯. উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করলেই বাড়ির অন্দরে বসেই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
১০. নিজ মুঠোফোনেও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর দেখার সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
১১. ইমেল আইডি রেজিস্টার হয়ে গিয়ে থাকলে, সেই ইমেল আইডিতে সমস্ত রকমের জরুরী তথ্য চলে আসবে।

আড়াই লাখ টাকা পাওয়ার হিসাব:

১. প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে জমা করতে হবে।
২. সেই টাকা দীর্ঘ ২০ বছর একটানা বিনিয়োগ করতে হবে।
৩. এর ফলে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
৪. এক্ষেত্রে সুদের হার ৭.১ শতাংশ।
৫. ফলস্বরূপ সুদে-আসলে মোট টাকার পরিমাণ হবে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬৩২ টাকা।