বাড়ি থেকে চিরতরে মশা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও সরল টোটকা
বাড়ির আশেপাশে কয়েকটি বিশেষ গাছ লাগালেই মশার আক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।

মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে যতই যাই করা হোক রক্ষা আর পাওয়া যায় না। কয়েল জ্বালানো হোক বা মশা তাড়ানোর তেল কোনো কিছুই একটা নির্দিষ্ট সময় পরে মশার তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এই অবস্থায় বাড়িতে মশার উপদ্রব কমাতে কিছু ঘরোয়া টোটকা অনুসরণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাড়ির আশেপাশে কয়েকটি বিশেষ গাছ লাগালেই মশার আক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব হবে। নিম্নে উপায়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।
■ মশা তাড়ানোর উপায়:
১. গাঁদা গাছ:
গাঁদা গাছের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। এই ফুলের গন্ধ মানুষের ভালো লাগলেও মশার কাছে অসহ্যকর। বাড়ির আশেপাশে তথা জানালায় বা দরজায় গাঁদা ফুলের গাছ রাখলে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। গাঁদা গাছ আশেপাশে থাকলে মাছি ও পোকামাকড়ও দূরে চলে যায়।
২. পুদিনা:
পুদিনা পাতার চাটনি ও পুদিনা ফ্লেভারের শরবত আলাদাই শান্তি দেয় মনে। তবে এছাড়াও পুদিনা পাতা মশা তাড়াতে কাজে লাগে। পুদিনা পাতার তীব্র গন্ধের জ্বালায় মশা ও পোকামাকড় দূরে চলে যায়। এই গাছকে সূর্যের আলোয় রাখতে হবে।
৩. ল্যাভেন্ডার:
উগ্র গন্ধযুক্ত ফুল হল ল্যাভেন্ডার। এই গন্ধের কারণে কীটপতঙ্গ থেকে মশামাছি সবকিছুই দূরে পালায়। এই গাছের গন্ধ ইঁদুরের কাছে অসহ্য। এই গাছকে সূর্যালোকের নিচে রাখতে হয়। এই গাছের সংস্পর্শে এলে মশার ঘ্রাণশক্তি কাজ করে না।
৪. রোজমেরি:
একাধিক গাছ রয়েছে মশা তাড়ানোর। নানান গাছের মধ্যে রোজমেরির গাছের নাম অন্যতম। এই গুল্মজাতীয় গাছের বিশেষ গন্ধের দৌলতে মাছি, মশা ও যে কোনো পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৫. লেমন গ্রাস:
এই ঘাস থেকে বিশেষ প্রকৃতির তেল তৈরি করা হয়। এই তেলটি বাজারে সিট্রানেলা তেল নামে পরিচিত। এই তেলের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না।