মাত্র ১০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু, এককালীন পেয়ে যাবেন ১৬ লাখ টাকা, মধ্যবিত্তদের জন্য দুর্দান্ত স্কিম নিয়ে এলো পোস্ট অফিস
স্কিমটিতে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০ টাকা। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিয়মিত বিনিয়োগ করতে পারলে মেয়াদ শেষে ১৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যেতে পারে।

পোস্টের অফিসের তরফে নানান রকমের স্কিম লঞ্চ করা হয়ে গিয়ে থাকে। কোনো স্কিমে এককালীন বিনিয়োগ করতে হয়, আবার কোনো স্কিমে মাসিক বিনিয়োগের মাধ্যমে মেয়াদ শেষে বিপুল টাকা পাওয়া যায়। আপনি যদি নিরাপত্তা খুঁজে থাকেন এবং প্রতি মাসে বিনিয়োগ করতে চান। তাহলে আপনার জন্য একটি স্কিম রয়েছে পোস্ট অফিসে।
স্কিমটিতে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০ টাকা। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিয়মিত বিনিয়োগ করতে পারলে মেয়াদ শেষে ১৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যেতে পারে। এই প্রতিবেদনে আলোচনার বিষয়বস্তু ‘রেকারিং ডিপোজিট স্কিম’ (Reccurring Deposit Scheme)। পোস্ট অফিসের অন্যান্য স্কিমের মধ্যে এই স্কিমটি বেশ জনপ্রিয়।
■ স্কিম সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
১. এই স্কিমের অধীনে কমপক্ষে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলেই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
২. এই স্কিমের অধীনে সুদ পাওয়া যায় ৫.৮% হারে।
৩. স্কিমের মেয়াদ ১-২ বছর কিংবা তার বেশি হতে পারে।
৪. প্রত্যেক মাসে নিয়মমাফিক টাকা জমা করতে হয়।
৫. প্রতি তিন মাসে সুদের টাকা খাতা ধারকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে।
৬. বিনিয়োগকারীর বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
৭. নাবালক অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েদের নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে উক্ত নাবালক বা নাবালিকার জন্য তার অভিভাবক অ্যাকাউন্ট খুলে দেবে।
৮. কোনো বিনিয়োগকারী যদি পরপর ১২টা কিস্তি সফলভাবে জমা দিয়ে দেন, তাহলে তারপরে তিনি ঋণ নিতে পারবেন।
৯. বিনিয়োগকারী ব্যক্তি সঞ্চিত অর্থের মোট ৫০% টাকা ঋণ হিসাবে পাবেন।
■ প্রাপ্য টাকার হিসাব:
১. মনে করা যাক, বিনিয়োগকারী ব্যক্তি প্রত্যেক মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন।
২. সেই হিসাবে ১ বছর অর্থাৎ ১২ মাসের মাথায় সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
৩. এইভাবে টাকা জমা দিতে থাকলে ১০ বছরের মাথায় সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ১২ লক্ষ টাকা।
৪. ১০ বছরে শেষে এই টাকায় সুদ পাওয়া যাবে ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৭৬ টাকা।
৫. অর্থাৎ মোট রিটার্নের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৭৬ টাকা।