জমি ছাড়াই বস্তার মধ্যে ১২ মাস চাষ করুন শসা, ফলন হবে বাম্পার, শিখে নিন পদ্ধতি
গ্রীষ্মকালীন সবজিগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপকারী ফল হল শসা। শসাকে সাধারণত প্রত্যেকে সবজি হিসেবে ধরলেও উদ্ভিদবিজ্ঞানের মতে এটিকে ফল হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়।

গ্রীষ্মকালীন সবজিগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপকারী ফল হল শসা। শসাকে সাধারণত প্রত্যেকে সবজি হিসেবে ধরলেও উদ্ভিদবিজ্ঞানের মতে এটিকে ফল হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। শসা একটি গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও বর্তমানে প্রায় সারা বছরই বাজারে শসা কিনতে পাওয়া যায়। তবে বাজারে কিনতে পাওয়া শসার বেশিরভাগই রাসায়নিক পদ্ধতিতে উৎপন্ন করা হয়। যার কারণে এর পুষ্টিগুণ কমে আসে। পাশাপাশি রাসায়নিক প্রভাবে তা মানুষের শরীরে অনেক ক্ষতি করে। তবে যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে শসার চাষ করা যায় তবে এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
শসা সাধারণত স্যালাডে খাওয়া হলেও রান্না করেও এটি খাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। ফাইবার ও ফ্লুইড সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি শরীরের জলের চাহিদা মেটায়। পাশাপাশি হজমেও ব্যাপকভাবে সাহায্য করে শসা। এর মধ্যে উপস্থিত রয়েছে স্টেরল নামক একটি উপাদান যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকার কারণে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এটি সাহায্য করে। তবে উপকারের পাশাপাশি এর বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যারা দীর্ঘদিন যাবত সাইনোসাইটিস রোগী ভুগছেন তাঁদের এটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
ব্যবসায়িকভাবে শসা চাষের জন্য উর্বর মাটি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গার প্রয়োজন। তবে বাড়িতে জায়গার অভাবে কেবলমাত্র অল্প জায়গাতেই শসা চাষ করা যায়।
বাড়িতে শসা চাষের পদ্ধতি-
১. বাড়িতে শসা চাষের জন্য প্রয়োজন একটি সিমেন্টের বস্তা। তার জন্য প্রথমে একটি বস্তার মধ্যে পরিমাণ মতো গোবর সার ও দোআঁশ মাটি মিশিয়ে নিতে হবে।
২. এরপর সেই মাটি ভিজিয়ে বাজার থেকে উন্নত মানের শসার বীজ এনে ভালোমতো মাটিতে রোপন করে দিতে হবে।
৩. বীজ রোপণের সপ্তাহখানেক পর সেখান থেকে চারা বেরিয়ে আসবে। চারা বেরোনোর সপ্তাহ দুয়েক পর্যন্ত ভালোমতো চারা গাছটির যত্ন নিতে হবে। তার জন্য গাছটিকে পর্যাপ্ত সূর্যালোকে রেখে প্রতিদিন নিয়ম মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে জল দিতে হবে। কারণ গাছের বৃদ্ধির জন্য জল ও সূর্যের আলো অত্যন্ত প্রয়োজন।
৪. এরপর বাজারে পাওয়া অথবা বাড়িতে তৈরি করা জৈব সার কিনে এনে গাছে প্রয়োগ করতে হবে। তবে বাজার থেকে কিনলে অবশ্যই খেয়াল করে জিঙ্ক, সালফেট, কপার, ফসফরাস, সীসা যুক্তসার কিনবেন।
৫. গাছটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠলে তার বেড়ে ওঠার জন্য একটি মাচা তৈরি করে দিতে হবে। যেহেতু শসা গাছ লতানো হয় তাই সুতো এবং বাঁশের সাহায্যে গাছটিকে বেঁধে দিতে হবে।
৬. এভাবে কিছুদিন সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে মাস দুয়েকের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করবে। তাই আর বাজারের রাসায়নিক যুক্ত শসা না খেয়ে বাড়িতেই উৎপন্ন করুন এই পুষ্টিকর সবজিটি।
দেখুন ভিডিও :