ত্বক হবে দুধের মতো ধবধবে ফর্সা, বাড়িতে বানিয়ে মেখে ফেলুন অ্যালোভেরার এই ফেসপ্যাক
অ্যালোভেরা জেল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটি বাংলায় ঘৃতকুমারী নামে পরিচিত। অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ও চুলে সরাসরি লাগানো যায়।

অ্যালোভেরা জেল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটি বাংলায় ঘৃতকুমারী নামে পরিচিত। অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ও চুলে সরাসরি লাগানো যায়, আবার শরবত বানিয়েও পান করা যায়। শরীরের পরিচর্যায় অ্যালোভেরা (Aloe Vera) জেলের জুড়ি মেলাভার। এই জেলের সঙ্গে যদি আবার অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেটি আরওই কার্যকরী হয়ে ওঠে। এই প্রতিবেদনে অ্যালোভেরার কিছু উপকারী গুণাগুণ সম্পর্কেই আলোচনা করা হল।
■ অ্যালোভেরা জেলের বিভিন্ন রকমের প্যাক:
১. ভিটামিন-ই ও অ্যালোভেরা জেল: একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের নির্যাস নিতে হবে। দুটি ভালো করে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে মুখে মাখতে হবে। মুখে লাগিয়ে ঘুমিয়ে গেলেও কোনো সমস্যা নেই, বরং আরও ভালো। এমনটা নিয়মিত করলে ত্বকের জেল্লা বাড়ে এবং ত্বকের বিভিন্ন রকমের দাগছোপ কমতে শুরু করে।
২. ভিটামিন-ই, নিমপাতা ও অ্যালোভেরা জেল: অনেকের ত্বকেই ফুসকুড়ি বা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে শীঘ্র পরিত্রাণ পেতে ভিটামিন-ই, নিমপাতার পেস্ট ও অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এমনটা করলে ফুসকুড়ি বা অ্যালার্জিজনিত ত্বকীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৩. গ্রীন টি ও অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে গ্রীন টি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের নানান রকমের সমস্যা দূর হবে। গ্রীন টি-এর উপস্থিতিতে অ্যালোভেরা জেল ত্বকের একাধিক সমস্যা দূর করতে পারে। গ্রীন টি ও অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণের উপকার পেতে চাইলে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কুড়ি মিনিটের মতো রেখে দিতে হবে। এই প্যাক মুখ ছাড়াও শরীরের অন্যত্রও লাগানো যেতে পারে। কুড়ি মিনিট পরে ঠাণ্ডা জল ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
[Disclaimer: উপরে লিখিত প্রতিবেদনে উল্লিখিত উপকরণে যদি কারোর অ্যালার্জিজনিত বা অন্য কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে তাঁর সেই উপকরণ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত ও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত]