বাড়ি থেকে মশা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও ঘরোয়া উপায়
বর্ষাকাল হোক বা শীতকাল, শরৎকাল হোক বা গ্রীষ্মকাল বর্তমানে সমস্ত ঋতুতেই মশার উপদ্রব দেখতে পাওয়া যায়।

বর্ষাকাল হোক বা শীতকাল, শরৎকাল হোক বা গ্রীষ্মকাল বর্তমানে সমস্ত ঋতুতেই মশার উপদ্রব দেখতে পাওয়া যায়। প্রচণ্ড গরমে মশারি খাটিয়ে ঘুমানো যায় না, আবার কোনোরকমে মশারি খাটালেও মশারির ভেতরে অতিরিক্ত মশার উপদ্রব পিছু ছাড়ে না। এই অবস্থায় মশার জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া কিছু টোটকার আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে (Homemade Techniques to Get rid of Mosquitoes)। নিম্নে এই ইস্যুতেই বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।
■ মশার জ্বালা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কী করে?
১. নিমপাতা: নিমপাতা খুবই উপকারী। মশা থেকে পরিত্রাণ পেতে নারকেল তেল ও নিমপাতার তেলের মিশ্রণ খুবই কার্যকরী হতে পারে। এর জন্য একটি পাত্রে দুই প্রকারের তেল সমপরিমাণে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। বাজারজাত যে কোনো মশা তাড়ানোর জিনিস থেকে বেশি ভালো কাজ করতে পারে এই মিশ্রণ। কেউ এই তেলের মিশ্রণটি গায়ে মেখে নিলে মশা কামড়ানো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
২. লবঙ্গ ও লেবু: কয়েকটি লেবুর টুকরো নিতে হবে। লেবুর এই টুকরোগুলোতে লবঙ্গ গেঁথে দিতে হবে। উল্লেখ্য, লবঙ্গের ফুল সদৃশ্য অংশটি যেন লেবুর বাইরে থাকে খেয়াল রাখতে হবে। লবঙ্গে সজ্জিত লেবুর এই টুকরোগুলো একটি প্লেটে নিয়ে, সেটি বাড়ির কোণায় রেখে দিতে হবে। এমনটা করলে বাড়িতে মশার উপদ্রব কমতে দেখা যাবে। এই লেবু জানালার গ্রিলেও রাখা যেতে পারে।
৩. থাই লেমন গ্রাস: মশা থাই লেমন গ্রাসের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। আর তাই সহজে মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে বাড়ির আশেপাশে এই ঘাসগাছ লাগানো যেতে পারে।
৪. পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা পেটের সমস্যা থেকে মশার সমস্যা সবকিছুই দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। বাড়ি থেকে মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় দূর করতে এক বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য একটি কাঁচের গ্লাসে প্রথমে জল নিতে হবে। এই জলে কয়েকটি পুদিনা পাতা ছড়িয়ে বাড়ির কোণে রেখে দিতে হবে। ৩-৪দিন অন্তর জল বদলে ফেলতে হবে। এমনটা নিয়মিত করলে বিভিন্ন পোকামাকড় ও মশার উপদ্রব কমতে দেখা যাবে।
৫. রসুনের স্প্রে: মশার কাছে রসুনের তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ অসহ্যকর। একটি পাত্রে জলের সঙ্গে রসুনের রস মেশাতে হবে। এই মিশ্রণে ৫ ভাগ জল ও ১ ভাগ রসুনের রস থাকবে। মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে মশা তাড়ানোর স্প্রেরূপে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. চা পাতা: এক্ষেত্রে তাজা নয়, ব্যবহার করা চা পাতাই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। ব্যবহার হয়ে যাওয়া চা পাতা রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। এই শুকিয়ে নেওয়া চা পাতা ধুনার পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে।