রঙিন পাতাগুলোর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি ব্যাঙ, ৭ সেকেন্ডে খুঁজে বের করলেই আপনি জিনিয়াস

পাতার স্তূপের মধ্যেই একটি ব্যাঙ লুকিয়ে রয়েছে। এই ব্যাঙটিকে খুঁজে পাওয়া কিন্তু সহজ ব্যাপার নয়।

ধাঁধা সমাধান করতে বসলে কখন যে সময় পেরিয়ে যায়, বুঝতেই পারা যায়না। এই খেলায় লোকসান হয় কিনা জানা নেই, তবে লাভ যে হয় তা ঠিকই বুঝতে পারা যায়। এই খেলার দৌলতে স্মৃতি সংক্রান্ত একাধিক রোগের লক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর মধ্যে অ্যালাজাইমার (Alzheimer) ও ডিমেনশিয়ার (Dimentia) নাম অন্যতম। এই খেলায় অংশগ্রহণ করার মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে ও মস্তিষ্কের কসরত সম্ভব হয়।

ধাঁধা সমাধানের মডার্নরূপ হল অপটিক্যাল ইলিউশন। প্রযুক্তিগত উন্নতির পর থেকে শব্দ ধাঁধার প্রচলন কমে যেতে দেখা গেছে এবং অপটিক্যাল ইলিউশনে উত্তর খোঁজার প্রচলন বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। অপটিক্যাল ইলিশন কথাটি বলতে যতটা সহজ, সমাধান করা কিন্তু ততটা সহজ নয়। অপটিক্যাল ইলিউশনে সময়ের উল্লেখ থাকতে পারে, আবার নাও থাকতে পারে। কোনো অপটিক্যাল ইলিউশনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর খুঁজতে হয়, আবার কোনো অপটিক্যাল ইলিউশনে সীমাহীন সময়ের মধ্যে গণনা ও চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে একাধিক উত্তর খুঁজতে হয়। অপটিক্যাল ইলিউশনের প্রকৃতির যাই হোক না কেন, উত্তরদাতা গভীর মনোযোগী প্রকৃতির ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন না হলে কোনোভাবেই সঠিক উত্তর খুঁজে বের করতে পারে না।

সম্প্রতি এমনই এক চ্যালেঞ্জিং অপটিক্যাল ইলিউশন সম্পন্ন ফটো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেখা গেল। ভাইরাল ফটোটিতে একাধিক পাতা দেখতে পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি পাতার রঙই অপর পাতার থেকে আলাদা থাকতে দেখা যায়। কোনো পাতার রং হলুদ বা সবুজ থাকতে দেখা যায়, তো কোনো পাতা গোলাপি বা বেগুনি রঙের দেখতে পাওয়া যায়। দাবি করা হয়েছে, এর পাতার স্তূপের মধ্যেই একটি ব্যাঙ লুকিয়ে রয়েছে। এই ব্যাঙটিকে খুঁজে পাওয়া কিন্তু সহজ ব্যাপার নয়। এই দুনিয়ার পাত্র ৫% মানুষ পাতার মধ্যে থেকে ব্যাঙটিকে খুঁজে বের করতে পেরেছেন। আপনি যদি ব্যাঙটিকে খুঁজে পেয়ে যান, তাহলে আপনি সত্যিই জিনিয়াস!

ব্যাঙটিকে খুঁজছেন? জানিয়ে দি, ব্যাঙটি মূলত ফটোটির বাম দিকে উপরের দিকে ৩ নং পাতার পরেই আছে। খুঁজে না পেলে নিম্নে দেওয়া চিহ্নিত করা ফটোটি দেখতে পারেন।