চোখের ধাঁধা: ছবিতে লুকিয়ে আছে একটি চিতাবাঘ, ৯৯% মানুষ উত্তর দিতে ব্যর্থ

মনোযোগ সহকারে ভালো করে দেখলে ঠিকই বোঝা যাবে যে, এই ধুলোর চাদরে ঢাকা দৃশ্য সম্পন্ন ফটোর মধ্যে সত্যিই একটি চিতাবাঘ রয়েছে।

বর্তমানে ধাঁধা নতুনরূপে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্থান অধিকার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া পূর্ববর্তী যুগে পুস্তকে ও মুখে শুধুই শোনা যেত শব্দ ধাঁধার জাল। এই জালে একবার জড়ালে বেরিয়ে আসা কঠিন ছিল। অর্থাৎ, শুনে নিলেও সবাই শব্দ ধাঁধা সমাধান করতে পারতো না। খুব কম মানুষই বুদ্ধিমত্তার জোরে শব্দ ধাঁধা সমাধান করতে পারতেন।

মানুষের জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার আগমন ঘটার পর থেকেই শব্দ ধাঁধার প্রচলন কমতে শুরু করে ও দৃষ্টিভ্রম সম্পন্ন ফটো সমাধানের প্রচলন বাড়তে দেখা গেছে। এই দৃষ্টিভ্রম সম্পন্ন ফটো অপটিক্যাল ইলিউশন নামে পরিচিত। এই ফটোগুলো দেখে প্রথমে সহজ-সরল প্রকৃতির ফটো মনে হলেও, এগুলি প্রকৃতপক্ষে বেশ জটিল প্রকৃতির হয়। বহুক্ষেত্রেই সমাধান খুঁজতে গিয়ে কালঘাম ছুঁটে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়।

সম্প্রতি একটি অপটিক্যাল ইলিউশন সম্পন্ন ফটো সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার বিষয় হয়ে উঠতে দেখা গেছে। ফটোটিতে একটি দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। এই দৃশ্যে থাকতে দেখা যায় ধুলোমাখা মাটি, ধুলোর চাদরে ঢাকা গাছ এবং মাটির ঢিবি। দাবি করা হয়েছে, এর মধ্যেই একটি চিতাবাঘ লুকিয়ে রয়েছে। প্রথমবার দেখলে মনে হবে এই ফটোতে কোনো চিতাবাঘ নেই। কিন্তু মনোযোগ সহকারে ভালো করে দেখলে ঠিকই বোঝা যাবে যে, এই ধুলোর চাদরে ঢাকা দৃশ্য সম্পন্ন ফটোর মধ্যে সত্যিই একটি চিতাবাঘ রয়েছে।

অনেকেই ধুলোমাটির পরিবেশে চিতাবাঘ খুঁজতে ব্যর্থ হয়েছেন। দুর্বল দৃষ্টিশক্তি ও মনোযোগ সম্পন্ন মানুষের পক্ষে উত্তর খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন মনোযোগী মানুষই একমাত্র এই ফটোতে চিতাবাঘ খুঁজে বের করতে পারেন। এবার দেখুন তো আপনি কোন দলে পড়েন? আপনি চিতাবাঘটিকে খুঁজে বের করতে পারেন কিনা, একবার দেখুন তো!

আপনি খুঁজে পেয়ে গেলে তো খুবই ভালো। না পেয়ে গিয়ে থাকলে নিম্নে দেওয়া চিহ্নিত করা সমাধানটি দেখতে পারেন।