চোখের ধাঁধা : ছবিতে এতগুলি আমের মাঝে লুকিয়ে আছে একটি টিয়া পাখি, রইল ১৫ সেকেন্ডে খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ

ফটোটিতে অসংখ্য সুস্বাদু আম দেখতে পাওয়া যায়। আমগুলোর রং যেন দেখার মতো। গোলাপি, সবুজ, হলুদ প্রভৃতির রঙের সমন্বয়ে আমগুলোকে দেখতে পাওয়া যায়।

অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধানের খেলা মানুষের মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখার এক বিশেষ প্রক্রিয়া। এই ধাঁধায় অংশগ্রহণ করতে গেলে মস্তিষ্ক ও চক্ষু উভয়কেই সজাগ থাকতে হয়। শরীরের এই দুই অংশ সজাগ থাকলে ও সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করলে তবেই অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধান করা সম্ভব হয়। এই খেলায় অংশগ্রহণ করলে শুধু যে মস্তিষ্ক আরও বেশি সক্রিয় হয়, তা নয়। জীবনের একঘেয়েমিও কাটে।

পাজলগুলো ডিজাইন করা হয় বেশ দক্ষতার সঙ্গে। কারণ এই পাজলগুলো দেখলে প্রথমে মনে হবে ফটোগুলোতে অস্বাভাবিক কিছুই নেই। এককথায়, মনে হতে পারে পাজল হিসাবে পেশ করা ফটোগুলো একদম স্বাভাবিক ফটো। কিন্তু যখন ভালো করে তথা খুঁটিয়ে লক্ষ্য করা হয়, তখনই ফটোর মধ্যে থাকা অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে।

আসলে এই পাজলগুলোর ডিজাইনই এমনভাবে করা হয়, যাতে মানুষের মস্তিষ্ক বিভ্রান্তির শিকার হয়। আর মানব মস্তিষ্কও এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, উপলব্ধ বা দৃশ্যমান তথ্য দিয়েই শূন্যস্থান পূরণ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। আর এই জন্যই অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধান করতে গিয়ে মানুষ অনেক সময়েই মাথা চুলকাতে বাধ্য হয়ে যায়। সম্প্রতি একটি পাজল ইন্টারনেটের জগতে ঝড় তুলে দিয়েছে। এই পাজলটি এতটাই বিভ্রান্তিকর, যে সবাই এই পাজল দেখে বিভ্রান্তের শিকার হচ্ছেন।

ফটোটিতে অসংখ্য সুস্বাদু আম দেখতে পাওয়া যায়। আমগুলোর রং যেন দেখার মতো। গোলাপি, সবুজ, হলুদ প্রভৃতির রঙের সমন্বয়ে আমগুলোকে দেখতে পাওয়া যায়। এবার মজার বিষয় হল, এই ফটোতে শুধুমাত্র আম নেই, এক অনুপ্রবেশকারীও আছে। অগুনিতক রঙিন আমের মাঝেই একটি টিয়াপাখি লুকিয়ে আছে। জানিয়ে রাখি, এই টিয়াপাখির রং হুবহু আমের রঙের মতোই। টিয়াপাখির দেহ হলুদ, সবুজ ও গোলাপি রঙে পালকে ঢাকা।

আপনার কাজ হল অসংখ্য রঙিন আমের মাঝে রঙিন টিয়াপাখিটিকে খুঁজে বের করা। আপনাকে এর জন্য মাত্র ১৩ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়েছে। দেখুন খুঁজে বের করতে পারেন কিনা। খুঁজে বের করতে পারলে সত্যিই আপনার দৃষ্টিশক্তি বেশ ভাল রয়েছে বলে মানতে হবে! খুঁজে না পেলে নিম্নে দেওয়া সমাধানটি দেখতে পারেন।