পোস্ট অফিসের দুর্দান্ত স্কিম, ৫ লাখ টাকা ডাবল হবে মাত্র কয়েক বছরে, জানুন বিশদে
পোস্ট অফিসের একটি স্কিম রয়েছে, সেই স্কিমে জমা করা অর্থ দ্বিগুণরূপে পাওয়া যায়। একজন বিনিয়োগকারী এই স্কিমে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ১০ লক্ষ টাকা পেতে পারেন।

আজকাল বহু মানুষই পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করতে চান। বিনিয়োগকারীদের তালিকায় আজকাল শুধুমাত্র প্রবীণদের নামই দেখা যায় না। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে কম বয়সীদের নামও। পোস্ট অফিসের একটি স্কিম রয়েছে, সেই স্কিমে জমা করা অর্থ দ্বিগুণরূপে পাওয়া যায়। একজন বিনিয়োগকারী এই স্কিমে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ১০ লক্ষ টাকা পেতে পারেন। নিম্নে এই স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল।
■ স্কিম সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা:
১. এই স্কিমে ১০০ টাকার গুণিতকে টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
২. বিনিয়োগের কোনো ঊর্ধ্বসীমা সীমা নেই।
৩. এই স্কিমের সুদের হার অর্থমন্ত্রক কর্তৃক প্রত্যেক ৩ মাস অন্তর পর্যালোচনা করা হয়।
■ স্কিমের সুবিধা:
১. এই স্কিমের অধীনে বিনিয়োগ করতে চাইলে বিনিয়োগকারীকে নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বা টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলাতে হবে।
২. এই স্কিমের অধীনে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০০ টাকা।
৩. স্কিমটির অধীনে যদিও সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিমাণ নির্দিষ্ট করা হয়নি।
৪. এই স্কিমে বিনিয়োগ করার জন্য বিনিয়োগকারীর বয়স অবশ্যই ১০ বছরের বেশি হতে হবে।
৫. নাবালক ছেলে-মেয়েদের নামে কেউ যদি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে যান, তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবকদের অধীনে অ্যাকাউন্টটি তৈরি করতে হবে।
৬. স্কিমটিতে ১,২,৩ ও ৫ বছরের অধীনে টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
৭. এক্ষেত্রে সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট ও যৌথ অ্যাকাউন্ট ওপেন করে যায়।
৮. ‘আয়কর আইন ৮০ সি’-এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধা উপলব্ধ রয়েছে এই স্কিমে।
■ স্কিমের হিসাব:
১. এই স্কিমের অধীনে ৭.৫% হারে সুদ পাওয়া যাবে।
২. স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর।
৩. এই স্কিমে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে ৫ বছর পরে ৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৭৪ টাকা পাওয়া যাবে।
৪. সুদ হিসাবে প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৭৪ টাকা।
৫. বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের মেয়াদ ৫ বছর বৃদ্ধি করলে সুদাসলে ১০ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।
৬. এই অবস্থায় প্রাপ্য সুদের পরিমাণ হবে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ১৭৫ টাকা।