Post Office Scheme: মাত্র ১১৫ মাসে টাকা হবে ডাবল, মধ্যবিত্তদের জন্য দুর্দান্ত স্কিম নিয়ে এলো পোস্ট অফিস

বর্তমানে বিনিয়োগ করার জন্য বাজারে একাধিক বিকল্প রয়েছে। বর্তমানে বাজারে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক থাকলেও ভারতীয়দের একটা বিরাট অংশ পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন।

বর্তমানে বিনিয়োগ করার জন্য বাজারে একাধিক বিকল্প রয়েছে। বর্তমানে বাজারে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক থাকলেও ভারতীয়দের একটা বিরাট অংশ পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন।

পোস্ট অফিসে বিনিয়োগের জন্য একাধিক স্কিম রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা নিজেদের ইচ্ছে মতো স্কিম বেছে নেন এবং সেই স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন। আপনিও যদি পোস্ট অফিসের কোনো একটা স্কিমে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে এই প্রতিবেদনটি চট করে পড়ে ফেলতে পারেন। এই প্রতিবেদনে পোস্ট অফিসের এক দুর্দান্ত স্কিম সম্পর্কে আলোচনা করা হল। এই স্কিমে বিনিয়োগ করা টাকা দ্বিগুণ পরিমাণে রিটার্ন হিসাবে পাওয়া যায়।

প্রকল্পটির নাম কী?

প্রকল্পটির নাম হল কিষাণ বিকাশ পত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে এই প্রকল্পের সুদের হার চলতি বছরে ১লা এপ্রিল তারিখে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে কিষাণ বিকাশ পত্রের অধীনে সুদের হার ছিল ৭.২ শতাংশ। এপ্রিলের প্রথম দিনে সেই সুদের হার বৃদ্ধি করে ৭.৪ শতাংশ করে দেওয়া হয়।

প্রকল্প কেন্দ্রীক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:


১. এই প্রকল্পের অধীনে বিনিয়োগকারীর টাকা দ্বিগুণ হতে পারে।
২. এই প্রকল্পটি মূলত আমানত প্রকল্প। এই প্রকল্পের রচনা করা হয়েছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে।
৩. প্রকল্পটির অধীনে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার টাকা।
৪. এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারী ব্যক্তি যত ইচ্ছা তত বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করা নেই। এক্ষেত্রে ১০০ টাকার গুণিতকে বিনিয়োগ করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
৫. বর্তমানে প্রকল্পের মেয়াদ ১১৫ মাস। পূর্বে এই মেয়াদ আরও বেশি তথা ১২০ মাস ছিল। সুদের হার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলস্বরূপ, আগের থেকে কম সময়ে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের টাকা পাবেন।
৬. কোনো ব্যক্তি ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে মেয়াদ পূর্তির পরে মোট ২০ লক্ষ টাকা পেতে পারেন।
৭. এই প্রকল্পের অধীনে বিনিয়োগকারীরা চক্রবৃদ্ধি সুদের নিয়মে সুদ পেয়ে থাকেন।
৮. এক্ষেত্রে নাবালক তথা ১০ বছরের বেশি বয়সীদের নামেও অ্যাকাউন্ট ওপেন করা যেতে পারে। প্রাপ্ত বয়স্করা চাইলে সিঙ্গেল বা যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এমনকি ৩ জনে মিলেও অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা দেওয়া হয়েছে এই স্কিমে।
৯. কোনো কারণবশত খাতা ধারক তথা অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু ঘটলে সেই টাকা নমিনি পেতে পারেন।
১০. এই পরিস্থিতিতে নমিনিকে খাতা ধারকের মৃত্যুর শংসাপত্র তথা বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) এবং নমিনির নিজের বৈধ আইডি কার্ড পোস্ট অফিসে জমা করতে হবে।
১১. এক্ষেত্রে একইসঙ্গে নমিনিকে একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং সেটিও জমা করতে হবে।
১২. সমস্ত তথ্য ঠিক থাকলে নমিনি খুব শীঘ্রই সেই টাকা পেতে পারেন।