পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার অধিকারী এই ১৩ বছরের ‘প্রকৃতি মাল্লা’, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

জানা গেছে প্রকৃতি মাল্লা ভারতের নয়, নেপালের বাসিন্দা। প্রকৃতি মাল্লার সমান দূরত্ব ও উচ্চতা সম্পন্ন শব্দগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছেন নেটিজেনরা।

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে প্রতিদিন নানান ধরণের প্রতিভার সাক্ষী হওয়ার সুযোগ পান সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। গান, নাচ, আবৃতি প্রভৃতির ভিডিও হামেশাই দেখতে পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। কিছু মানুষ কর্মজীবনকেও তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কাঠ কাটা, রান্না করা, চাষ করার মতো দৃশ্যও আজকাল বিভিন্ন ভিডিওতে দেখতে পাওয়া যায়। বহু নেটিজেন নিজেদের কারুকার্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

বিভিন্ন রকমের প্রতিভা, কর্ম শৈলী, শখ-আহ্লাদ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অংশ গেছে। এর ফলে বহু সাধারণ মানুষ সাধারণ ট্যাগের উর্দ্ধে নিজেকে অসাধারণভাবে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছে। বহু মানুষ ভাইরাল হওয়ার জেরে জনপ্রিয় হওয়ারও সুযোগ পেয়েছে। ফলস্বরূপ, কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলিব্রিটি স্তরে পরিচিতি লাভ করেছে, কেউ আবার অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে বের করেছে।

সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে একজনের লেখার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হতে দেখা গিয়েছে। দাবি করা হয়েছে যে, সেই হাতের লেখা এক ছোট্ট স্কুল ছাত্রীর এবং সেই পড়ুয়ার হাতের লেখা নাকি পুরো বিশ্বে সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার খেতাব অর্জন করেছে। জানা গেছে উক্ত স্কুল ছাত্রীর পরিচয় ও নাম। যে ছাত্রী শুধুমাত্র হাতের লেখার দৌলতেই নেটদুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে, তার নাম হল প্রকৃতি মাল্লা (Prakriti Malla)। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই নিজের হাতের লেখার দৌলতে প্রকৃতি মাল্লা বিশ্বের দরবারে জনপ্রিয়তার খাতায় নিজের নাম দাখিল করেছে।

জানা গেছে প্রকৃতি মাল্লা ভারতের নয়, নেপালের বাসিন্দা। প্রকৃতি মাল্লার সমান দূরত্ব ও উচ্চতা সম্পন্ন শব্দগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছেন নেটিজেনরা। লিপি বিশেষজ্ঞরাও তাঁর হাতের লেখার তারিফ করেছেন। তাঁর হাতের লেখার প্রশংসা পৌঁছে যায় নেপালের সশস্ত্র বাহিনীর কাছেও। ফলস্বরূপ, দেশের সেনা বাহিনীর কাছে পুরস্কৃত হয় অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া প্রকৃতি মাল্লা। উল্লেখ্য, প্রকৃতি মাল্লার ভিডিও দেখে অনেকেই তার হাতের লেখা এমএস ওয়ার্ডের ফন্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন।