৯০ দশকের সুপারহিট গানে ক্লাসরুমের মধ্যেই উদ্দাম নাচ সুন্দরী শিক্ষিকার, ভাইরাল ভিডিও
দিয়া মির্জার সেই নাচকে অবিকল নকল করতে দেখা গেল এবার এই শিক্ষিকাকে।

পৃথিবীর অত্যন্ত পবিত্র সম্পর্ক গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম পবিত্র সম্পর্ক হলো শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক। দুজনের মধ্যেই সর্বদা ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার সম্পর্ক বিরাজ করে। মা-বাবার পর যাদের স্থান তারা হলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। আর পরস্পরের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা চলে আসছে বহু যুগ ধরে। এমনকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা বর্ণিত রয়েছে রামায়ণ-মহাভারতেও। তবে সভ্যতার আধুনিকীকরণের সাথে সাথে বদল এসেছে মানুষের চিন্তাধারায়। সেরকমভাবেই বদল এসেছে রীতি রেওয়াজেও।
বর্তমানে অনেকটাই শিথিল হয়ে পরেছে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর সম্পর্ক। আর যার প্রমাণ মেলে সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই। সেরকমই একটি বাস্তব উদাহরণ মিললো সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। যেখানে একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি ক্লাসরুমের মাঝে এক শিক্ষিকাকে একটি জনপ্রিয় হিন্দি গানে তুমুল নাচতে। ভিডিওটিতে ওই স্কুল শিক্ষাকে দেখা যাচ্ছে একটি বাদামী রঙের শাড়ি ও সাথে লাল রঙের ব্লাউজ পরে ক্লাসরুমের ভেতর দুর্দান্ত কায়দায় নৃত্য পরিবেশন করতে।
জনপ্রিয় ‘বিন্দিয়া চমকে চুড়িয়া খনকে’ হিন্দি গানটিতে দুর্দান্ত কায়দায় নেচে সকলকে তাক লাগিয়েছিলেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। সেই নাচের সুরাহা আজও করা হয় দর্শকমহলে। আর দিয়া মির্জার সেই নাচকে অবিকল নকল করতে দেখা গেল এবার এই শিক্ষিকাকে। সম্ভবত স্কুলেরই কোনো একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে এভাবে নৃত্য পরিবেশন করছেন ওই শিক্ষিকা। যদিও ভাইরাল এই ভিডিওটি থেকে ওই শিক্ষিকার আসল পরিচয় জানা যায়নি। তবুও তাঁর নাচের প্রশংসা করতে ভোলেনি নেট নাগরিকরা।
তবে সবকিছুর যেমন ভালো দিক রয়েছে সেরকমই একটি খারাপ দিকও রয়েছে। প্রশংসার পাশাপাশি অনেকেই সমালোচনার তিড় ছুড়েছেন ঐ শিক্ষিকার দিকে। ‘ক্লাসরুমের ভেতর এধরনের জিনিস না করাই উচিত’, ‘ছিঃ’ ইত্যাদিরকম বিভিন্ন সমালোচনামূলক কমেন্টে ভরে গিয়েছে ভিডিওটির কমেন্ট বক্স। আবার অনেকে স্কুলের পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতি। অর্থাৎ বলা চলে একশ্রেণীর মানুষ ভিডিওটিকে ভালোভাবে গ্রহণ করলেও আরেক শ্রেণীর মানুষ মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছে না এটি।