৭২ বছর বয়সে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন এই দম্পতি, পেলেন বিশ্বের সবচেয়ে ‘বয়স্ক মা’ হিসেবে স্বীকৃতি

বিশ্বের সবচেয়ে ‘বয়স্ক মা’ হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন।

একজন মহিলার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত হল “মা” (Maa) ডাকটি শোনা। যখন তার সন্তান মা হিসাবে তাঁকে ডেকে উঠবে তখনই হয়তো সবথেকে আনন্দর দিন আসে তার জীবনে। কিন্তু সবার মাতৃত্বের চরম সুখ পাওয়া হয়ে ওঠে না। বিজ্ঞানের প্রচেষ্টায় যদিও পৃথিবীর এই লিখনকেও অনেকটা পিছনে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ঠিক যেমনটা হয়েছে ৭২ বছর বয়সী মহিলা ‘দলজিন্দর কৌর’ -এর সাথে। সাড়া বিশ্ব অবাক করে দিয়ে ৭২ বছর বয়সে IVF পদ্ধতিতে মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে সে।

একজন মহিলা ৫০ বছর অব্দি সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। খুব কম সংখ্যক মহিলাই চল্লিশের পরে সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম হয়। আর পাঞ্জাবের বাসিন্দা দলজিন্দর ৭২ বছর বয়সে মা হয়েছেন। সব বিজ্ঞানকে ভুল প্রমাণিত করে দিয়ে তার কোল আলো করে এলো পুত্র সন্তান। বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন ওই বৃদ্ধা। গত ১৭ এপ্রিল তাদের পুত্র ভূমিষ্ঠ হয়েছে। কিন্তু এই IVF পদ্ধতিটি ঠিক কি?

আপনাদের বলি আইভিএফ বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন এক ধরণের টেস্ট টিউব পদ্ধতি হচ্ছে মানবদেহের বাইরে শুক্রাণুর দ্বারা ডিম্বাণু নিষিক্ত করার পদ্ধতি হিসাবে হয়। টেস্ট টিউব চিকিৎসা পদ্ধতির সফল পদযাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে যুক্তরাজ্যে লুইস ব্রাউনের জন্মের মধ্য দিয়ে। ভারতে এই IVF পদ্ধতি করতে খরচ হয় ২-৫ লক্ষ টাকার মতো। দম্পতি প্রথম অবস্থায় এই খরচ বহন করতে অক্ষম ছিলেন। কিন্তু সেই সময় দলজিন্দর যখন বিজ্ঞাপনটি দেখেছিলেন তখন এটি চেষ্টা করা উচিত এমনটাই ভাবনা আসে।

হরিয়ানারই একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে দুই বছরে তিনবার আইভিএফ চিকিৎসার করার পর তাঁদের পুত্র সন্তান আরমানের জন্ম হয়। যার ওজন 1.76 কেজি যা অনেক কম। তবে বৃদ্ধা তাঁকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন কারণ তার দুধ ভালোভাবে বিকশিত হচ্ছিল না। তবে দুঃখজনকভাবে, শিশুর জন্মের পরেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তাঁর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু দম্পতি এই বয়সে এসে পিতা মাতা হতে পেরে বেজায় খুশি।