অমিতাভ বচ্চনের ‘সূর্যবংশম’ সিনেমার গৌরীকে চেনেন? তিনি একজন জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রী, রইল তাঁর পরিচয়

বাংলার দিদিদের প্রধান ভালোবাসা তিনি। শুধু তাই নয় অভিনয় কিংবা সঞ্চালনাতেও আটকে থাকেননি তিনি। নিজস্ব ক্লোদিং ব্র্যান্ড ‘রচনা’স ক্রিয়েশনস’ তৈরী করেছে।

সালটা ১৯৯৭, যখন অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) সাথে বিয়ে হবার কথা ছিল রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee) -র। চমকাবেন না, বাস্তব নয় নেহাত সিনেমার মধ্যেকার গল্প। কিন্তু সেই বিয়ে যদিও ভেস্তে যায়। কথা হচ্ছে বিখ্যাত সিনেমা ‘সূর্যবংশম’ (Suryavansham) সম্পর্কে। নেহাতই দুর্দান্ত এই সিনেমাটি কেউ দেখার থেকে বিরত থেকেছেন। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন বিগ-বি অমিতাভ বচ্চন, রেখা, অনুপম খের, মুকেশ ঋষি সহ অনেকেই অভিনয় করেছিলেন। আর সেখানেই দেখা গিয়েছিল গৌরী’র চরিত্রে বাঙালি অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীকে।

সেই গৌরী এখন কেমন আছেন? কোথায় আছেন কিংবা কি করছেন জানেন? রচনার বয়স এখন ৪৮। তবে তাঁকে দেখলে কোনোক্রমে বোঝা যায় না। ২০১৭ সালে শেষবারের জন্য বড়ো পর্দায় মুখ দেখিয়েছিলেন রচনা। তারপরে অবশ্য প্রতিদিন আপনারা টেলিভিশনে দেখেন তাঁকে। ‘দিদি নম্বর ১’ রিয়ালিটি শো তাঁকে ছাড়া কার্যত ‘অনাথ’। বিকাল পাঁচটা বাজলেই জি বাংলার পর্দায় বাংলার ঘরে ঘরে সকলে তাঁকে দেখার জন্য বসে পরেন।

বাংলার দিদিদের প্রধান ভালোবাসা তিনি। শুধু তাই নয় অভিনয় কিংবা সঞ্চালনাতেও আটকে থাকেননি তিনি। নিজস্ব ক্লোদিং ব্র্যান্ড ‘রচনা’স ক্রিয়েশনস’ তৈরী করেছে। যেখানে কম দামে মহিলাদের দুর্দান্ত শাড়ি থেকে সালোয়ার কামিজ পাওয়া যায়। এছাড়াও চলতি বছরে রচনার মুকুটে যুক্ত হয়েছে আরও একটি পালক যার নাম ‘রচনা কেয়ার’। এটি রচনার নিজস্ব স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড। বাংলার অভিনেত্রীদের মধ্যে রচনাই প্রথম যিনি নিজের নামাঙ্কিত ক্লোদিং ব্র্যান্ড ও স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড লঞ্চ করলেন। এসবের পরেও অভিনয় জীবনকে ভোলেননি তিনি। আবারও সুযোগ পেলে অভিনয়ে ফিরতে চান রচনা তা নিজেই বারংবার জানিয়েছেন।

২০০৪ সালে প্রথম স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয় রচনার। তিন বছরের কাছাকাছি একা থাকার পরে ২০০৭ সালে কলকাতায় প্রবাল বসু সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন অভিনেত্রী। ২০০৯ সালে তাঁদের পুত্রসন্তান প্রনীল পৃথিবীতে আসেন। ৪৮ বছরের রচনা বর্তমানে বহু বছর ধরে ‘সিঙ্গেল মাদার’। হ্যাঁ দ্বিতীয় বিয়েও ভেঙে যায়। তবে ডিভোর্স নয় ছেলের জন্য আলাদা থাকেন দুজনে। কিন্তু এর পর আর কোনো সম্পর্কে জড়াতে চাননি রচনা। ছেলে প্রণীলকে আঁকড়েই নতুন করে জীবন শুরু করেন তিনি।