এ কেমন পাখি! ডানা ঝাপটাতেই মুহূর্তের মধ্যে বদলে যাচ্ছে রঙ, ভাইরাল ভিডিও
এই পাখি অপূর্ব উজ্জ্বল ও দ্যুতিময় পালকের অধিকারী। আর যাকে দেখলে আশ্চর্য হওয়ারই কথা প্রত্যেকের

আমাদের পরিবেশ নানারকমের বৈচিত্র্যতে মোড়া। সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীকে নানা রকমের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রাণী দিয়ে সাজিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে একাধিক সুন্দর সুন্দর প্রাণী ও পাখি। যারা নিজেদের সৌন্দর্যতায় মুগ্ধ করে সকলকে। আমরা সাধারণত জানি কেবলমাত্র গিরগিটি হলো পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী যে নিচের রং পরিবর্তন করতে পারে। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল। আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের এমন একটি পাখি সম্পর্কে বলবো যে গিরগিটির মতো নিজের রং বদলাতে পারে।
এই পাখি অপূর্ব উজ্জ্বল ও দ্যুতিময় পালকের অধিকারী। আর যাকে দেখলে আশ্চর্য হওয়ারই কথা প্রত্যেকের। এই পাখিটি কেবলমাত্র নিজের মাথা ঘুরিয়েই বদলে ফেলতে পারে নিজের রং। এমনকি সৌন্দর্যতার দিক থেকেও এই পাখিটি মাত দেবে অন্যান্য পাখিদের। এই পাখিটির প্রতিবার মাথা ঘোরানো আর দেহ ঝাঁকানোর সাথে সাথেই বদলে যায় এদের শরীরের রং। সম্প্রতি এই পাখিরই একটি ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে গোটা নেট দুনিয়া জুড়ে।
এ ধরনের পাখিও আবার হয় নাকি? শুনতে একটু অবাক মনে হলেও এ কোনোরকম গল্পকথা নয়। বাস্তবই রয়েছে এ ধরনের পাখি। তবে এই পাখিটি পৃথিবীর সব জায়গায় পাওয়া যায় না। সাধারণত এদের বাস উত্তর আমেরিকায়। এ ধরনের পাখিরা প্রতি সেকেন্ডে একবার করে পাখা ঝাপটায় আর তাঁর সাথে সাথে নিজেদের রং বদলে ফেলে। এই পাখিগুলো আকারে অত্যন্ত ক্ষুদ্র। নজরকাড়া এই পাখিটির নাম ‘সুরাকাভ’। এরা সাধারণত হামিংবার্ড প্রজাতির পাখি। যাদের পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র পাখি বলে।
The stunning colors of the Anna's hummingbird are iridescence caused by light scattering from nanoscale structures within their feathers.pic.twitter.com/BZzXuFnHag
— Wonder of Science (@wonderofscience) July 21, 2022
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ব্যক্তির হাতের উপর বসে রয়েছে এই প্রজাতির একটি পাখি। পাখিটি একবার করে ডানা ঝাপটাচ্ছে আর নিমেষের মধ্যে বদলে যাচ্ছে তার গায়ের রং। কি মনোমুগ্ধকর সেই দৃশ্য। নিমেষের মধ্যে পাখিটির গায়ের রং কমলা থেকে গোলাপী আবার বেগুনি থেকে গোলাপী হয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সুরাকাভ নামক এই পাখিটি আকারে অত্যন্ত ক্ষুদ্র। এরা দৈর্ঘ্যে মাত্র কয়েক ইঞ্চি। আকারে খুবই ছোট হওয়ার কারণে এরা সচরাচর নজরে আসে না। আসলে এদের পালকের মধ্যে থাকে কেরাটিন লেয়ার্স। এই কারণেই তারা নিমেষের মধ্যে নিজেদের রং বদলতে ফেলতে পারে।