বিমান চালিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন পাইলটরা! ফ্লাইটে চড়ার আগে এই ৮ টি অজানা তথ্য জেনে রাখুন

দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া হোক কিংবা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে বিমান পরিষেবার কারণে আজকাল ভ্রমণ অত্যন্ত সহজ হয়েছে।

দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া হোক কিংবা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে বিমান পরিষেবার কারণে আজকাল ভ্রমণ অত্যন্ত সহজ হয়েছে। যার কারণে যত দিন যাচ্ছে তত বাড়ছে আকাশপথে ভ্রমণকারীর সংখ্যা। তবে আপনি যদি প্রথমবারের জন্য আকাশপথে ভ্রমন করেন তাহলে এয়ারলাইন সম্পর্কিত তথ্যগুলি আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন। এমনকি এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো আপনি না জেনে আকাশ পথে ভ্রমণ করলে পরতে পারেন বিপদে।

১. পাইলটরা যদি বিমানে ঘুমিয়ে পরেন-

এটি শুনতে একটু অদ্ভুত এবং ভয়ঙ্কর হলেও মাঝে মাঝে বিমান চালাতে চালাতে পাইলটরা ঘুমিয়ে পরেন। তবে এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ এর জন্য প্লেনের মধ্যে রয়েছে অটো পাইলট মোডের ফিচার। যার মাধ্যমে পাইলটরা এটি করতে সক্ষম হন। এই ফিচার এর মাধ্যমে ঘুমন্ত অবস্থাতেই প্লেন একা একা চলতে পারে কোনোরকম পাইলটের সহায়তা ছাড়াই। তবে এ সময় দ্বিতীয় পাইলট জেগে থাকার কারণে তার ওপর বিমানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এই ফিচারের মাধ্যমে ক্লান্ত অনুভব করলে বিমান চালকরা কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেয়।

২. পাইলট এবং যাত্রীদের জন্য আলাদা খাবার-

বর্তমানে প্রায় প্রতিটি বিমান সংস্থাই তাঁদের যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন। তবে আপনি কি জানেন পাইলট এবং যাত্রীদের খাবার এক হয় না। ‌আসলে পাইলটদের সবসময় হালকা খাবার পরিবেশন করা হয় যাতে তা সহজেই হজম হয়ে যায়। এতে বিমান চালানো অবস্থায় তাঁদের কোনরকম সমস্যায় পরতে হয় না। অন্যদিকে প্লেনে ভ্রমণকারী যাত্রীদের পছন্দমত খাবার পরিবেশন করা হয়।

৩. কফি পান করা থেকে বিরত থাকা-

আপনার যদি কফি পান করার নেশা থাকে তাহলে ফ্লাইটে ভ্রমনের সময় তা উপেক্ষা করুন। কারণ প্লেনের মধ্যে প্রদান করা কফি কাপ কেবলমাত্র একবারই পরিষ্কার করা যায়। তাই সেই পাত্রে একবারের বেশি কফি খাওয়া উচিত নয়।

৪. হেডফোনের ব্যবহার-

অনেকেই রয়েছেন যারা যাত্রাপথে গান শুনতে অথবা মুভি দেখতে হেডফোন ব্যবহার করেন। এতে সহযাত্রীদেরও কোনো রকম অসুবিধে হয় না। তবে আপনি যদি বাড়ি থেকে নিজস্ব হেডফোন নিতে ভুলে যান তাহলে কোনো চিন্তা করার কারণ নেই। কারণ এয়ারলাইন্সের তরফ থেকে সমস্ত ছাত্রদের প্রদান করা  হেডফোনের সুবিধা।

৫. বিমানের গোপন ক্যামেরা-

বিমানে কোনোরকম বাহ্যিক ক্যামেরা দেখানো গেলেও বিমানের মধ্যে রয়েছে গোপন ক্যামেরা। এতে সমস্ত যাত্রীদের মুভমেন্ট রেকর্ড করা যায়। কোনরকম দুর্ঘটনা ঘটলে এটি অত্যন্ত কাজে আসে।

৬. লাশ রাখার জায়গা-

বিমানে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পরলে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সুবিধা থাকলেও কেউ হঠাৎ মারা গেলে সেই অবস্থায় বিমান সংস্থার কোনো কিছু করার নেই। এমনকি ফ্লাইটের মধ্যে মৃতদেহ রাখার জায়গা না থাকার কারণে সেই যাত্রীর সিটেই লাশটিকে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।

৭. বিমানে থাকা অক্সিজেন মাস্ক মাত্র ১৫ মিনিট জীবন বাঁচাতে সক্ষম-

যেহেতু বিমানে অনেকটা উচ্চতায় ওড়ে তাই যাত্রীদের মাঝে মাঝে প্রয়োজন হয় বাড়তি অক্সিজেনের। এর কারণে প্রতিটি বিমানেই অক্সিজেন মাস্ক এর সুবিধা রয়েছে। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই অক্সিজেন মাস্ক থেকে কেবলমাত্র ১৫ মিনিট অক্সিজেন সরবরাহ হয়।