সরকারি চাকরি ছেড়ে সিরিয়ালের লেখিকা, তাঁর লেখা সব সিরিয়ালেই হিট! সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে লীনা গাঙ্গুলীর অজানা জীবন কাহিনী

২০০৪ সালে ইটিভি বাংলার “সোনার হরিণ” ধারাবাহিক দিয়ে নিজের টেলিভিশন জগতের কাজ শুরু করেন। প্রথম সেই স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন।

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমান সময়ের বাংলা ধারাবাহিকের ব্র্যান্ড বলা যায়। না তিনি কোনো অভিনেত্রী, প্রয়োজক কিংবা পরিচালক নয়। তবে তার কলম করেছে হাজারো শিল্পীকে প্রতিষ্ঠিত। ছিলেন কলেজের অধ্যাপিকা হয়ে গেলেন টলি পাড়ার অন্যতম লেখিকা। তার বাড়িতে কিংবা অফিসে একটি দুর্দান্ত ধারাবাহিকের স্ক্রিপ্টর জন্য ভিড় জমসন চ্যানেল কতৃপক্ষ। প্রায় দু দশক ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন তিনি।

২০০৪ সালে ইটিভি বাংলার “সোনার হরিণ” ধারাবাহিক দিয়ে নিজের টেলিভিশন জগতের কাজ শুরু করেন। প্রথম সেই স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন। ব্যাস সেই ধারাবাহিক কতটা হিট হয়েছিল তা নিশ্চয়ই বলতে হবে না। তারপর থেকে বিন্নি ধানের খই, সাত পাকে বাধা, সুবর্ণলতা, ফাগুন বউ, কেয়া পাতার নৌকো, ইষ্টিকুটুম, খড়কুটোর মতো একাধিক নাম ভেসে আসবে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক হিসাবে।

এখন তিনি খুলেছেন নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজ। শুধু তাই নয় এবার পরিচালকের ভূমিকাতেও দেখা যাবে তাঁকে। ২০১৮ সালে মাটি সিনেমায় সহ পরিচালকের দায়িত্ব দুর্দান্ত পালন করেছিলেন। তারপরে আরও কিছু সিনেমায় তাঁকে দেখা যাবে। বর্তমানে তার ‘ধুলোকোনা’, ‘গুড্ডি’, ‘এক্কা দোক্কা’ এই ধারাবাহিক গুলি চলছে। ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাডেমি পুরস্কার ‘শ্রেষ্ঠ লেখিকা’ বিষয়ে পেয়েছে তিনি।

জানা যায় এমন সময় গেছে যখন তার বাড়ির কেউ ধারাবাহিক দেখলে টিভি চ্যানেলটি নিজেই ঘুরিয়ে দিতেন। আর আজ তার কলমেই চলছে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি। লেখিকা হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করবার আগে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন একটি কলেজের বাংলার অধ্যাপিকা। তবে লেখালেখির সাথে ছিল তার সব সময়ই একটি নিবিড় সম্পর্ক। তাই একসময় অধ্যাপিকার কাজকে বিদায় জানি পুরো সময়ের জন্য হয়ে ওঠেন নায়িকা। আর তারপর থেকেই কার্যত প্রতিমাসে তার আয় হয়ে যায় লক্ষ লক্ষ টাকা।