১ টাকার কয়েনের নীচে ছোট্ট বিন্দু থাকে কেন? ৯৯% মানুষ সঠিক উত্তর জানেন না

ব্যবহৃত ১ থেকে ১০ টাকার কয়েনের মধ্যে বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন রয়েছে। এই কয়েনগুলোর কোনোটিতে বিন্দু আবার কোনোটিতে রয়েছে ডায়মন্ড চিহ্ন।

আমাদের প্রত্যেকেরই দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে খুচরো পয়সার প্রচুর গুরুত্ব রয়েছে। অটো রিক্সায় যাতায়াত থেকে শুরু করে বাজার ঘাট প্রতিটি ক্ষেত্রেই খুচরো পয়সার ব্যবহার হয়ে থাকে।‌ যেগুলোর মধ্যে ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা ও ১০ টাকার মতো কয়েনের ব্যবহার প্রতিনিয়তই হয়। তবে কখনো কি খেয়াল করে দেখেছেন নিত্যদিন ব্যবহৃত ১ থেকে ১০ টাকার কয়েনের মধ্যে বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন রয়েছে। এই কয়েনগুলোর কোনোটিতে বিন্দু আবার কোনোটিতে রয়েছে ডায়মন্ড চিহ্ন।

আসুন এবার তাহলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক। আসলে কয়েনের মধ্যে এধরনের বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্নের ব্যবহারকে বলা হয় মিন্টমার্ক (Mintmarks)। বর্তমানে আমাদের গোটা দেশ জুড়ে সর্বমোট চারটি টাঁকশাল রয়েছে। যেগুলো কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই ও নয়ডায় অবস্থিত। আর প্রতিটি টাঁকশালের একটি করে সাংকেতিক চিহ্ন রয়েছে। অর্থাৎ সেই কয়েনটি কোন টাঁকশাল থেকে মুদ্রিত হয়েছে তা বোঝায় এই চিহ্নগুলোর মাধ্যমে।

যদি আপনি কোনো কয়েনের মধ্যে তারকা (Star) চিহ্ন দেখতে পান তাহলে এর অর্থ সেই কয়েনটি হায়দ্রাবাদের টাঁকশাল থেকে মুদ্রিত হয়েছে। এই টাঁকশালে ১৯৮৬ সাল থেকে এধরনের তারকা চিহ্ন ব্যবহার হয়ে আসছে। কোনো কয়েনের মধ্যে যদি হীরক বা ডায়মন্ড (Diamond) চিহ্ন থেকে থাকে তাহলে বুঝবেন সেই মুদ্রাটি মুম্বাইয়ের টাঁকশাল থেকে মুদ্রিত হয়েছে। মূলত ১৯৯৫ সাল থেকে এই চিহ্নটি ব্যবহার হয়ে আসছে।

নয়ডার টাঁকশাল থেকে মুদ্রিত কয়েনগুলো দেখলে আপনি সহজেই চিনতে পারবেন। কারণ নয়ডার টাঁকশাল থেকে মুদ্রিত কয়েন গুলোর মধ্যে বিন্দু বা ডট চিহ্ন দেখা যায়। যা ব্যবহার হয়ে আসছে ১৯৬৮ সাল থেকে। যখন এই টাঁকশালটি প্রতিষ্ঠা হয়। যদি কোনো মুদ্রায় কোনরকম চিহ্ন খুঁজে না পান তাহলে ধরে নেবেন সেই মুদ্রাটি কলকাতার টাঁকশালে তৈরি মুদ্রা। আর এ ধরনের কয়েনগুলো আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। তবে কলকাতার টাঁকশাল গোটা ভারতের সবচেয়ে পুরোনো একটি টাঁকশাল। যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৭০৩ সালে।