গাছের গোড়ায় খাবার সোডা দিলে যা ঘটবে

গাছের ফুল ও ফল অপরিণত অবস্থাতেই ঝরে পরে যায় সেই সমস্ত গাছগুলিকে সতেজ রাখতে খাবার সোডার ব্যবহার করা হয়।

বিভিন্ন রান্নার স্বাদকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে বেকিং সোডা বা খাবার সোডা। এর রাসায়নিক নাম সোডিয়াম বাইকার্বনেট। যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় রান্নাকে তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করার জন্য। এছাড়াও বিভিন্ন প্যাকেটজাত বিস্কুট, পাউরুটি, কেক ও নান রুটি প্রস্তুত করতেও বেকিং সোডার ব্যবহার হয়। এমনকি এটি শরীরের পক্ষেও অত্যন্ত ভালো। যা আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখে। তবে জানেন কি এটি গাছের পক্ষেও একটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান। কারণ গাছ পরিচর্যা করতেও এটি ব্যবহৃত হয়।

তবে গাছে এটি প্রয়োগ করার আগে কিছু সঠিক নিয়ম জেনে নিন। নয়তো হিতের বিপরীত হতে পারে। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে জানবো সেসম্পর্কেই কিছু তথ্য। গাছে খাবার সোডা দিলে খুব তাড়াতাড়ি গাছের বৃদ্ধি হয় এমনকি গাছের উপর থেকে পোকামাকড়ের উপদ্রবও কমে। সাধারণত যে সমস্ত গাছে ছত্রাক অথবা অন্যান্য পোকামাকড়ের উপদ্রব লক্ষ্য করা যায় সে সমস্ত গাছের যদি গোড়ার মাটি খুঁড়ে খাবার সোডা প্রয়োগ করা যায় তাহলে দ্রুত গাছের বৃদ্ধি হবে। এর জন্য একটি বালতিতে ৫ লিটার জল নিয়ে তার মধ্যে ৫ চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে টানা একমাস গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে। এতে সহজেই পোকামাকড়ের উপদ্রব কমবে।

অনেক সময় কাছের মধ্যে মিলিবাগ বা ল্যাদাপোকার আক্রমণ ঘটে। যা গাছের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে। তাই এধরনের পোকার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে তার উপর খাবার সোডার জল স্প্রে করলেও গাছের বৃদ্ধি ভালো হয় ও পোকা দূর হয়। সেক্ষেত্রে যদি ১ লিটার জলের সাথে এক চামচ খাবার সোডা এবং এক চামচ হলুদ ও চার-পাঁচ ফোঁটা হ্যান্ডওয়াশ মিশিয়ে দেওয়া যায় তাহলে এর প্রতিক্রিয়া দ্বিগুণ হয়। তবে বেশি পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা গেলে গাছে অবশ্যই কীটনাশক বা ছত্রাক নাশকের ব্যবহার করা উচিত।

এমনকি যেই সমস্ত গাছের ফুল ও ফল অপরিণত অবস্থাতেই ঝরে পরে যায় সেই সমস্ত গাছগুলিকে সতেজ রাখতে খাবার সোডার ব্যবহার করা হয়। এজন্য এক লিটার জলের মধ্যে ১/২ চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলের সাহায্যে গাছের ওপর স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এটি গাছের উপর থেকে পিঁপড়ে ও কেঁচোর উপদ্রব কমায়। তবে গাছের ওপর খাবার সোডার প্রয়োগ করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে সার প্রয়োগ করাও প্রয়োজন।

দেখুন ভিডিও: