ভুলেও শুকনো তুলসী গাছ বাড়িতে রাখবেন না, হতে পারে মহা বিপদ
হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছের একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে তাই শুকনো তুলসী গাছ কখনোই বাড়িতে রাখবেন না। তুলসী গাছ যদি শুকিয়ে যায় তাহলে তা তৎক্ষণাৎ তুলে ফেলুন।

হিন্দু শাস্ত্রে তুলসী গাছকে একটি পবিত্র গাছ বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মে এই গাছের একটি আলাদাই মাহাত্ম্য রয়েছে। যার কারণে সমস্ত মন্দিরের পাশাপাশি প্রতিটি বাড়িতেও এই গাছের পূজা করা হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে তুলসী গাছে জল ঢালা ও সন্ধ্যেবেলা তুলসী গাছের সামনে প্রদীপ ও ধূপ-ধূনো দেখানো একটি বহু পুরোনো রীতি। যা চলে আসছে বহু যুগ ধরে। পাশাপাশি প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই তুলসী পাতার ব্যাবহার হয়ে থাকে।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয় যে তুলসী গাছে নাকি স্বয়ং মা লক্ষ্মীর বাস। তবে ধর্মীয় পূরাণ অনুযায়ী তুলসী গাছ বাড়িতে লাগানোর কিছু সঠিক নিয়ম রয়েছে। যা সঠিকভাবে পালন না করলে সংসারে নেমে আসতে পারে ঘোর অমঙ্গল। আজকের এই প্রতিবেদনে সেরকমই কিছু সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করবো। আসুন তবে জেনে নিন সেই নিয়মগুলো সম্পর্কে-
• হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছের একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে তাই শুকনো তুলসী গাছ কখনোই বাড়িতে রাখবেন না। তুলসী গাছ যদি শুকিয়ে যায় তাহলে তা তৎক্ষণাৎ তুলে ফেলুন। কারণ শুকনো তুলসী গাছ সংসারে অমঙ্গল ডেকে আনে।
• যেহেতু তুলসী গাছকে মা লক্ষ্মীর রূপ হিসেবে মনে করা হয় তাই তুলসী গাছ শুকিয়ে গেলে তা তুলে কোনো জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়া উচিত। আর তার পরিবর্তে নতুন গাছ লাগানো উচিত।
• বাড়ির যেই জায়গায় তুলসী গাছ রয়েছে সেই জায়গা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।
• কখনো ভুলেও তুলসী গাছের সামনে জুতো বা চটি রাখবেন না। এতে মা লক্ষ্মীর অপমান করা হয় বলে মনে করা হয়। এমনকি তুলসী গাছের সামনে ঝাড়ু রাখলেও আপনি দরিদ্র হয়ে যেতে পারেন।
• প্রতিদিন নিয়মিত স্নানের পর তুলসী গাছে জল ঢালা উচিত। তবে ভুলেও রবিবারে তুলসী গাছে জল ঢালবেন না।
• তুলসী গাছের সাথে কখনোই কাঁটাযুক্ত গাছ রাখা উচিত নয়। এতে মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হয় এবং আপনার জীবনেও নেমে আসতে পারে ঘোর অর্থনৈতিক সংকট।
• সবসময় মনে করে বাড়ির উত্তর, উত্তর-পূর্ব, পূর্ব কিংবা বাড়ির একেবারে কেন্দ্রীয় স্থানে তুলসী গাছ লাগানো উচিত। এই দিকগুলোতে তুলসী গাছ লাগানো অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
• হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সবসময় কার্তিক মাসের বৃহস্পতিবার তুলসী গাছ লাগানো উচিত। এতে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সর্বদা বজায় থাকে।