মাত্র ১টা জবা ফুলেই বদলে যাবে ভাগ্য, দূর হবে অর্থনৈতিক সংকট
বাড়িতে জবা ফুলের গাছ লাগালে তা বাড়িতে নেগেটিভ শক্তি ঢুকতে বাধা দেয় ও সমস্ত নেতিবাচক শক্তিকে পজিটিভ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

মানুষের জীবন মানেই ভালো এবং খারাপ সময়ের সমন্বয়। জীবনে কখনো ভালো সময় আসে আবার কখনো আসে খারাপ সময়। তবে কিছু কিছু মানুষের জীবনে কেবলমাত্র কিছুদিনের জন্য ভালো সময় আসলেও খারাপ সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়। যার কারণে ধ্বংস হয় মানুষের বেঁচে থাকার মনোবল। তবে বাস্তুশাস্ত্র মতে যদি সঠিকভাবে এর প্রতিকার করা যায় তাহলে অনেকাংশেই উপকৃত হতে পারে এই সমস্ত সমস্যাগুলোয় ভোগা মানুষেরা। এমনকি জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শকদের মতে এগুলোর প্রতিকার লুকিয়ে রয়েছে আমাদের বাড়ির ভেতরেই।
কমবেশি সকলের বাড়িতেই দেখতে পাওয়া একটি ফুলের গাছ হলো জবা ফুল। এই ফুলটি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর হওয়ার কারণে তা বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি পুজোর কাজেও লাগে। তবে বাস্তুবিদদের মতে এই ফুলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আপনার উন্নতির চাবিকাঠি। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যদি নিজের জীবনের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটাতে চান তাহলে প্রতি মঙ্গলবার বজরংবলী এবং শুক্রবার মা লক্ষ্মীকে উৎসর্গ করে একটি করে জবা ফুল অর্পণ করুন। যার ফলে কিছুদিনের মধ্যেই ঘটবে আপনার জীবনে উন্নতি।
জবা ফুল নানা দেবতার পূজোর কাজে লাগে। মা কালীর পূজোর পাশাপাশি সূর্য নারায়ণের পূজো অসম্পূর্ণ এই ফুলটি ছাড়া। মানুষের জীবনে সূর্য পূজোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। সূর্যের মতো তেজ পেতে নিয়মিত সূর্যের পূজো করুন। তবে পূজো করার সময় অবশ্যই মনে করে জল নিবেদনের পর সূর্যদেবকে উৎসর্গ করে একটি লাল জবা ফুল দিতে হবে। জবা ফুলের পাশাপাশি জবা ফুলের গাছও বাড়ির জন্য ইতিবাচক শক্তি বয়ে আনে। তাই বাড়ির পূর্ব দিকে জবা ফুলের গাছ লাগানো খুবই ফলদায়ক বলে মনে করেন বাস্ত বিশেষজ্ঞরা।
বাড়িতে জবা ফুলের গাছ লাগালে তা বাড়িতে নেগেটিভ শক্তি ঢুকতে বাধা দেয় ও সমস্ত নেতিবাচক শক্তিকে পজিটিভ শক্তিতে রূপান্তরিত করে। যেই সমস্ত ব্যক্তিদের রাশিতে সূর্য দুর্বল তারা অবশ্যই গ্রহের দোষ কাটাতে এই প্রতিকার করতে পারেন। এছাড়াও যদি বাড়ির শিশুরা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে যায় তাহলে তাঁদের পড়াশোনার সময় টেবিলের সামনে একটি লাল জবা ফুল রেখে দিতে পারেন। এতে পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও জবা ফুল মঙ্গলের দোষ কাটাতেও ভীষণভাবে সহায়ক।