কয়েকটি চালের দানায় বদলে যাবে ভাগ্য! লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সুখ-সম্পদে ভরবে জীবন

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী চাল (Rice)-কে মা লক্ষ্মীর সাথে তুলনা করা হয়। ধান থেকে চাল হয় আর সেই চাল ফুটেই ভাত তৈরি হয়, যা আমাদের দেশের প্রধান একটি খাদ্য। ‌

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী চাল (Rice)-কে মা লক্ষ্মীর সাথে তুলনা করা হয়। ধান থেকে চাল হয় আর সেই চাল ফুটেই ভাত তৈরি হয়, যা আমাদের দেশের প্রধান একটি খাদ্য। ‌ বিশেষ করে বাঙালিরা ভাত ছাড়া প্রায় অচল বললেই চলে। তাই অনেকেই এই চালকে দেবতাদের উৎসর্গ করে। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে চালের ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে এছাড়াও আরও একটি বিশেষ ক্ষেত্রে চালের ব্যবহার রয়েছে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই চালই ফিরিয়ে আনতে পারবে আপনার ভাগ্য। আসুন তবে জেনে আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা প্রচুর অর্থ উপার্জন করেও অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন না। আর এক্ষেত্রেই আপনার ভাগ্য বদলাতে পারে কেবলমাত্র ৭টি চালের দানা। এর জন্য প্রথমে একটি কালো কাপড়ে মুড়ে নিতে হবে। তারপর সেই কালো কাপড়ে মোড়ানো সেই চাল রেখে দিতে হবে আপনার মানিব্যাগে। ব্যাস তাতেই কেল্লাফতে। ‌এই পদ্ধতি অবলম্বনে সহজেই কেটে যাবে আপনার যাবতীয় আর্থিক সমস্যা। এছাড়াও প্রতি বৃহস্পতিবার মাছেদের খেতে দিতে হবে।

কেউ যদি সদ্য পিতৃহারা হয় অথবা সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করেও পৃতিদোষ না কাটে তাহলে সেক্ষেত্রেও কাজে দেবে চালের টোটকা‌। তার জন্য প্রতি অমাবস্যা তিথিতে চালের পায়েস তৈরি করে, তা একটি বাটিতে নিয়ে ও অন্য একটি বাটিতে রুটি রাখতে হবে। তারপর সেটিকে বাড়ির ছাদে রেখে দিতে হবে কাকেদের উদ্দেশ্যে। এছাড়াও ব্রাহ্মণকে পায়েস খাওয়ালেও সহজে পিতৃদোষ কেটে যাবে।

কারো যদি ভাগ্যে শনির দোষ থাকে এবং অনেক চেষ্টা করেও সেই দোষ না কাটে তাহলে প্রতি মাসে চতুর্দশী তিথিতে চারটি চালের দানা ঠাকুরকে উৎসর্গ করতে হবে। এতে অতি সহজেই কাটবে আপনার শনির দশা ও ফিরবে ভাগ্য।

কেউ যদি দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও বহু প্রচেষ্টা করেও চাকরি না পান সেক্ষেত্রেও চালের দানাই সাহায্য করবে আপনাকে। এর জন্য প্রতিদিন সকালে কাককে মিষ্টি ভাত খাওয়াতে হবে। এতে আপনার প্রতি তুষ্ট হবেন স্বয়ং মা লক্ষ্মীও।