বাড়িতে রাখুন এই উপকারী গাছ, দূর হবে অর্থনৈতিক সংকট
বাড়ির পাশাপাশি অফিসেও এই গাছটিকে রাখতে পারেন। অফিস বা বাড়ির প্রবেশদ্বারে এই গাছটিকে রাখলে সৌভাগ্য হয়। তবে কখনো ভুলেও বেডরুম বা বাথরুমে এই গাছটিকে রাখতে যাবেন না।

যত দিন যাচ্ছে তত পৃথিবীতে বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে। যার কারণে মানুষের মধ্যে দিন দিন পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণে অনেকেই নিজেদের বাড়িতে জায়গা করে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগাচ্ছেন। গাছ হলো মানুষের প্রকৃত বন্ধু। কারণ গাছ ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। গাছ মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম উপাদান অক্সিজেন সরবরাহ করে। পাশাপাশি বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধ ও মানুষের খাদ্যেরও যোগান দেয় বিভিন্ন ধরনের গাছ। গাছ বাড়িতে লাগালে যেমন বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ঠিক সেরকমই বাড়িতে বিভিন্ন ইতিবাচক শক্তিকে প্রবেশ করাতেও সাহায্য করে।
বাস্তুবিদদের মতে মানুষের জীবনে এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ভাবে গাছেদের প্রভাব রয়েছে। কেবলমাত্র একটি গাছই নিমেষের মধ্যে পাল্টে দিতে পারে আপনার জীবনকে। অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ কত রকম কাজই না করে থাকে। তবে আপনি কি জানেন, এই একটি মাত্র গাছের ক্ষমতা কতটা। অনেকেই এ ধরনের কথা বিশ্বাস করেন না। এগুলোকে কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দেন। তবে যারা প্রকৃতভাবে বিশ্বাস করেন তারা এর ফল পান। এমনকি এগুলো যে একেবারেই কুসংস্কার নয় তা বলছেন বিভিন্ন বাস্তুবিজ্ঞানীরা।
তবে কখনোই মনে সংশয় নিয়ে এই কাজগুলো করতে যাবেন না এতে ফল নাও মিলতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ক্রাসুলা জেট প্ল্যান্ট আপনার অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি গাছ। এই গাছটিকে মানিপ্ল্যান্ট নামেও ডাকা হয়। যদি বাড়ির দক্ষিণ-পূর্বকোণে এই গাছটি লাগাতে পারেন তাহলে আপনার জীবন ধন-সম্পদে ভরে যাবে। এই গাছ আপনার জীবনে নিয়ে আসবে সৌভাগ্য। যদি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই বাড়ির পূর্বদিকে এই গাছটিকে রাখুন।
বাড়ির পাশাপাশি অফিসেও এই গাছটিকে রাখতে পারেন। অফিস বা বাড়ির প্রবেশদ্বারে এই গাছটিকে রাখলে সৌভাগ্য হয়। তবে কখনো ভুলেও বেডরুম বা বাথরুমে এই গাছটিকে রাখতে যাবেন না। এতে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে। যা আপনার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলবে। এই গাছটির খুব একটা যত্ন নেবার প্রয়োজন হয় না। এমনকি অল্প জায়গাতেই এই গাছটি বেড়ে উঠতে পারে।
বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত প্রতিবেদনটি বাস্তুবিদদের পরামর্শের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এর কোনোরকম বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।