বাড়িতে পায়রার বাসা বাঁধলে কিসের ইঙ্গিত দেয়!
বাস্তুবিদদের মতে, বাড়িতে পায়রার বাসা মোটেই ভালো ইঙ্গিত বহন করে না। তাঁরা আরও দাবি করেন যে, বাড়িতে পায়রার বাসার উপস্থিতি দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে।

পায়রা অনেকেই ভালোবাসেন। অনেকেই টিয়াপাখি, কাকাতুয়া বা ময়নার মতো হরবোলা পাখিদের পছন্দ না করে পায়রা বেশি পছন্দ করেন। এদের গুটুর-গুটুর আওয়াজ অনেকেরই মনে শান্তি দেয়। ফলস্বরূপ, বাড়িতে পায়রা বাসা বাঁধলে অনেক সময়েই বাড়ির সদস্যরা পায়রাকে না তাড়িয়ে রাখতে ভালোবাসেন। আর এখানেই বাস্তুবিদদের আপত্তি জানান।
বাস্তুবিদদের মতে, বাড়িতে পায়রার বাসা মোটেই ভালো ইঙ্গিত বহন করে না। তাঁরা আরও দাবি করেন যে, বাড়িতে পায়রার বাসার উপস্থিতি দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে। এই অবস্থায় বাড়ির সদস্যদের জীবন বিপদমুক্ত রাখতে বাড়ি থেকে পায়রার বাসা সরাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে দেখে নিন। নিম্নে সবকিছু ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হল।
■ কী কী করতে হবে?
● বাড়িতে থাকা পাখির বাসা পরিষ্কার করতে হবে:
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পায়রার বাসা পরিষ্কার করতে হবে। পায়রার বাসা বাড়িতে রাখলে বাড়ির পরিবারের সদস্যদের জীবনে দুর্যোগ নেমে আসতে পারে।
● বাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা দরকার: বাড়ির মধ্যে থেকে শুধুমাত্র পায়রার বাসা সরিয়ে দিলেই কাজ শেষ হবে না। যেখানে পায়রার বাসাটি ছিল সেখানে জীবাণুনাশকও স্প্রে করতে হবে।
● পায়রাকে খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে: পায়রা দেখে ভালো লাগলেও, পায়রার প্রতি মায়া লাগলেও পায়রাকে খাবার খেতে দেওয়া যাবে না। বাড়িতে খাবার পেলে পায়রা খেতে বারংবার চলে আসবে, পরবর্তীকালে হয়তো আর যাবেই না। তাই বাড়ির মধ্যে পায়রাকে খেতে দেওয়া যাবে না। তবে আপনি চাইলে বাড়ি বা বাগান থেকে দূরে কোথাও খেতে দিতে পারেন।
● কাঁচের জানালা, ভেন্টিলেটর বা ঘুলঘুলিগুলোকে বন্ধ করে দিতে হবে: পায়রার বাসা তৈরিতে দাঁড়ি টানতে চাইলে ঘুলঘুলি, কাঁচের জানালা বা ভেন্টিলেটর অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এগুলো স্থায়ীরূপে বন্ধ করলে আর পায়রাকে বাসা বাঁধতে দেখা যাবে না।
● পায়রার বাসার কাছে খেলনা-পুতুল রাখতে হবে: পায়রা যদি কোনোভাবে বাড়ির ভেতরে বা বাগানে বাসা করে ফেলে, তখন পায়রাকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এরজন্য পায়রার বাসার কাছে ছোট্ট ঈগল পুতুল বা বিড়ালের পুতুলকে রেখে দেওয়া যেতে পারে। ভয়ের চোটে পায়রা আর বাসার কাছে ফিরে আসবে না।
[Disclaimer: এই প্রতিবেদন বাস্তুবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী লিখিত। এটি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন ফল দিতে পারে।]