প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’, কড়া সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া অফিস

'বিপর্যয়' ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কোন দেশ করেছে? এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ।

আসছে ‘বিপর্যয়’! এটি সম্প্রতি চর্চায় থাকা এক ঘূর্ণিঝড়ের নাম। এই নাম শুনে অবাক হলেন? অবশ্য অবাক হওয়ারই কথা। ‘বিপর্যয়’ শব্দের মধ্যে লুকিয়ে থাকা নেতিবাচক ইঙ্গিতই মূলত মানুষকে অবাক করে দেওয়ার ও মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কারণ। এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা সহ করাচি উপকূলের দিকে এগোচ্ছে বলে জানা গেছে।

‘বিপর্যয়’ (Biparjoy) নামক এই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে আরব সাগরে। ভারতের আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই ঘূর্ণিঝড় ধীরে ধীরে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে। যদিও ভারতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর শক্তি মূলত আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করা হয়েছে। সমস্ত শক্তি সঞ্চয় করে এই ঘূর্ণিঝড় মোটামুটি ২ দিনের মধ্যে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ধেয়ে যাবে বলে খবর।

প্রথমে এই ঘূর্ণিঝড় মহারাষ্ট্রে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে পরে এর অবস্থানে পরিবর্তন লক্ষ্য করায় ভারতের এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ থেকে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান পূর্ব ও মধ্য আরব সাগর। এটি আবার ভারতের গোয়া থেকে মাত্র ৮৪০ কিমি দূরে অবস্থিত। এই ঘূর্ণিঝড়ের মুম্বাই থেকে দূরত্ব ৮৭০ কিমি। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের বুলেটিনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

এই ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রে উথালপাথাল সৃষ্টি করবে বলে দাবি করা হয়েছে। আর এই কারণেই মৌসম ভবনের তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্র উপকূলে বেড়াতে গেছেন বা কর্মসূত্রে গেছেন, তাঁদেরকে স্পষ্টভাষায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসতে বলা হয়েছে। এই সতর্কবার্তা মূলত কর্ণাটক, কেরালা ও লাক্ষাদ্বীপে জারি করা হয়েছে। অপরদিকে, কোল্লাম, তিরুবনন্তপুরম, আলাপ্পুজহা, পাথানামহিট্টা, কোয়াট্টাম, কোঝিকোদে ইয়েলো এলার্ট (হলুদ সতর্কতা) জারি করা হয়েছে।

■ ‘বিপর্যয়’ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কোন দেশ করেছে?
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ।