চাঁদের মাটিতে মহাকাশচারীরা প্রস্রাব করলে ঠিক কী হবে? জানলে অবাক হবেন
চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন নিল আর্মস্ট্রং, এ কথা কারও অজানা নয়। কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন? চাঁদে কোন মহাকাশচারী প্রথম প্রস্রাব করেছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর ৯৯% মানুষের অজানা। চাঁদে প্রথম প্রস্রাব করেছিলেন এডউইন অলড্রিন।

২০২৩ সালের ২৩ সে অগাস্ট কার্যত বিশ্বের সামনে ইতিহাস সৃষ্টি করলো ভারত। ‘চন্দ্রাযান ৩’ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে ল্যান্ড করেছে। বিগত এক মাস সেখানে বায়ু থেকে মাটি সব কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে। কোনো মানুষ এই যাত্রায় যদিও সামিল হয়নি। তবে চাঁদের কথা শুনলেই মনে পরে চাঁদের মাটিতে কোনো মানুষের প্রথম পায়ের ছাপ। ১৯৭৯ সাল, যখন ‘apollo 11’ মিশনের জন্য চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল।
চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন নিল আর্মস্ট্রং, এ কথা কারও অজানা নয়। কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন? চাঁদে কোন মহাকাশচারী প্রথম প্রস্রাব করেছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর ৯৯% মানুষের অজানা। চাঁদে প্রথম প্রস্রাব করেছিলেন এডউইন অলড্রিন। তিনিও ছিলেন আর্মস্ট্রং -এর সেই যাত্রার এক সাথী। অলড্রিন তাঁর বই ‘নো ড্রিম ইজ টু হাই’-তে এই কথা নিজেই জানিয়েছেন। তবে সরাসরি চাঁদের মাটিতে করেননি সেই প্রস্রাব।
স্পেসস্যুটের মধ্যেই এক বিশেষ থলির মধ্যে প্রস্রাব করেছিলেন অলড্রিন। কিন্তু চাঁদের এলাকায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা প্রথম মহাকাশচারী অবশ্যই তিনিই। তবে চাঁদের মাটিতে কে প্রথম প্রস্রাব করেছিলেন তা যদিও জানা যায়নি। চাঁদে যদি কেউ সরাসরি প্রস্রাব করেন, তা হলে ঠিক কী হবে? গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস মেসেঞ্জার এই বিষয়ে বেশ কিছু কথা জানিয়েছেন।
কেউ চাঁদে দাঁড়িয়ে স্পেসস্যুটের বাইরে সরাসরি প্রস্রাব করেন, তা হলে চাঁদে অত্যন্ত নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় চাপের প্রভাবে প্রস্রাব ফুটতে শুরু করবে। আর সেই বাষ্প তখন চাঁদের দুর্বল মাধ্যাকর্ষণের কারণে মেঝেতে পড়ে যাবে। প্রস্রাবের তাপমাত্রা শরীরের তাপমাত্রার সমান হয়, প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ধরা যায় তাহলে স্পেস সুটের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় চাপের সমান। সুতরাং চাঁদে স্পেসস্যুটের বাইরে প্রস্রাব করার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কম থাকায় সেই প্রস্রাব নিমেষের মধ্যে বাষ্পে পরিণত হয়ে যায়।