হার মানবে কম্পিউটারের ফন্টকেও, বিশ্বের সবথেকে সেরা সুন্দর হাতের লেখার অধিকারী এই কিশোরী
নেপালের ওই ছাত্রীর নাম হল প্রকৃতি মাল্ল্য (Prakriti Malla)। এই পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরতা বলে জানা গেছে।

মানুষ মাত্রেই যে তাঁর মধ্যে প্রতিভা থাকবে তা নয়। আবার প্রতিভা মাত্রই যে সেটা নাচ, গান, আবৃতি বা অঙ্কন হবে সেটাও নয়। হাতের পাঁচটা আঙ্গুল যেমন সমান হয় না, তেমনই বুদ্ধিমত্তা, প্রতিভা, দক্ষতাও সবার এক হয় না। কারোর আই.কিউ. লেভেল বেশি হয়, তো কেউ আবার গুণধারী শিল্পী হন। অনেক মানুষই অন্যদের শিল্পীসত্ত্বাকে মর্যাদা দেন না, সম্মান করেন না। কিন্তু অনেক সময়েই সেই সাধারণ শিল্পীসত্ত্বাই মানুষের জীবন পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখতে পারে।
বর্তমানে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। মানুষের জীবনের একটা বড়ো অংশ হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির দৌলতে হাতে লিখে তথ্য নথিবদ্ধ করার যুগ প্রায় শেষের দিকে। এই সময়ে চারিদিকে ছেয়ে গেছে টাইপ করা সফটকপি ও হার্ডকপিতে। এইসবের মাঝেই আবার সবাইকে চমকে দিয়ে লেখনশৈলীর জন্য সম্মান পেলেন এক ছাত্রী। শুনে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যিই। নিজের হাতের লেখার জন্যই খ্যাতির স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পেলেন নেপালের এক পড়ুয়া।
নেপালের ওই ছাত্রীর নাম হল প্রকৃতি মাল্ল্য (Prakriti Malla)। এই পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরতা বলে জানা গেছে। তাঁর হাতের লেখা চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো। সমান উচ্চতা ও সমান দূরত্ব বিশিষ্ট প্রকৃতি লিখিত প্রত্যেকটা অক্ষর, প্রত্যেকটা শব্দ। প্রকৃতির হাতের লেখা দেখে অবাক হয়ে গেছেন হাতের লেখা বিশেষজ্ঞরাও। তাঁর হাতের লেখা টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এমএস ওয়ার্ডের ফন্টকেও। এই পড়ুয়ার হাতের লেখার খ্যাতি এমন ছড়িয়েছে যে, নেপালের সরকার ও সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে পুরস্কার দিতে বাধ্য হয়েছে।
হাতের লেখার দৌলতে বিশ্বব্যাপী পরিচয় পেয়েছে প্রকৃতি মাল্ল্যর নাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাতের লেখার ফটো প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নেটাগরিকদের কাছেও প্রশংসা পেয়েছে প্রকৃতি।