বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলা, সম্পত্তির পরিমাণে মুকেশ আম্বানিকেও টেক্কা দিয়েছেন ইনি

২০১৭ সালে ফ্র্যাঙ্কোয়েস উত্তরাধিকার সূত্রে নিজের মায়ের থেকে এই জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা পেয়েছেন। ততদিন পর্যন্ত তাঁর মা অর্থাৎ লিলিয়েন বেটেনকোর্ট ছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলা।

ভারতের ধনকুবের হিসেবে পরিচিত একজন ধনী ব্যবসায়ী হলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। ভারতে থেকে তাঁকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। ভারতের পাশাপাশি এশিয়ার দ্বিতীয় ও বিশ্বের অষ্টমতম ধনী ব্যক্তি তিনি। দেশ-বিদেশ জুড়ে প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁর ও তাঁর পরিবারের কাছে। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির (Reliance Industries) কর্ণধার। এছাড়াও ভারতের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নাম রয়েছে ভারতের আরো এক ধনকুবের গৌতম আদানির। কিন্তু এই দুজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছাড়াও আরো একজন মহিলা ভারতীয় শিল্পপতি রয়েছেন যার সম্পত্তির পরিমাণ মুকেশ আম্বানির চেয়েও বেশি।

আর ইনি হলেন গোটা ভারত তথা গোটা বিশ্বের সবথেকে ধনী মহিলা। যার সম্পত্তির পরিমাণে হার মানতে পারে মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানির সম্পত্তিও। এই মহিলার কাছে গৌতম আদানির থেকে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে‌। গোটা বিশ্বের ধন কুবেরদের তালিকায় এনার নাম রয়েছে মুকেশ আম্বানির ঠিক আগে। জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন সংস্থা ফোর্বসের রিয়েল টাইম বিলিয়নিয়ার্সদের তালিকায় সদ্য উঠে এসেছে এই মহিলার নাম। তবে তিনি কোনো ভারতীয় নাগরিক নন।‌ তিনি ফ্রান্সের নাগরিক এবং বর্তমানে থাকেন প্যারিসে।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই মহিলার নাম হল ফ্র্যাঙ্কোয়েস বেটেনকোর্ট মেয়ার্স। যিনি গোটা বিশ্বজুড়ে খ্যাত জনপ্রিয় কোম্পানি লরিয়াল-এর প্রতিষ্ঠাতার নাতনী। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটিতে ফ্র্যাঙ্কোয়েস ও তাঁর পরিবারের আনুমানিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তিনি বর্তমানে এই কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত রয়েছেন। আর তাঁর সর্বমোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৮৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০১৭ সালে ফ্র্যাঙ্কোয়েস উত্তরাধিকার সূত্রে নিজের মায়ের থেকে এই জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা পেয়েছেন। ততদিন পর্যন্ত তাঁর মা অর্থাৎ লিলিয়েন বেটেনকোর্ট ছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলা। আর মা মারা যাওয়ার পর ফ্র্যাঙ্কোয়েস পান তাঁর কোম্পানির দায়িত্বভার‌। বর্তমানে তাঁর প্রতিনিধিত্বেই লরিয়াল আরো বেশি ছড়িয়ে পরেছে গোটা বিশ্বজুড়ে। ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে রয়েছে এই ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা।